বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
হেফাজতের মকসুদ কি?
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা কথিত "অরাজনৈতিক" সংগঠনের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ২:০৯ পিএম আপডেট: ২৯.১১.২০২০ ৩:১৬ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য উচ্ছেদের দাবি তুলে ফের রাজপথ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে কথিত ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। বিশেষ করে সম্প্রতি শেষ হওয়া কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে সংগঠনটির নেতৃত্ব চলে আসার পর থেকে হেফাজতের ‘মকসুদে আমল’ কি বোঝা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আগে থেকেই বলা হচ্ছিল, বাবুনগরীর হাতে হেফাজতের নেতৃত্ব চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কার্যত বিএনপি-জামায়াতের করায়ত্ব হতে চলেছিল হেফাজতে ইসলাম। তবে কি ঠুনকো ইস্যুতে রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি করে তারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলে দিতে চাইছে বিএনপি-জামায়াতের ঘরে? এমনটিই জিজ্ঞাসা এখন সাধারণ মানুষের।

গত ১৩ নভেম্বর এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে ফের আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। এভাবে হঠাৎ হঠাৎ রাজনৈতিক মঞ্চে অবতীর্ণ হওয়া, নিজেদের অরাজনৈতিক পরিচয়দানকারী হেফাজত কি আদৌ অরাজনৈতিক সংগঠন কি না এ প্রশ্নও নতুন করে ঘনীভূত হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে। হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া হবে বলে বক্তৃতা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের নিদর্শন স্মারক ভাস্কর্যকে ইসলামবিরোধী দাবি করে সব ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। একই সময়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে বিষোদগার করে বলেছেন, ‘ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্ত তৌহিদি জনতা রুখে দেবে। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে মূর্তি স্থাপনের অপরিণামদর্শি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।’ তাদের এসব বক্তৃতার জের ধরে দেশের প্রগতিশীল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রথমদিকে আওয়ামী লীগ চরমোনাই পীর ও হেফাজত নেতাদের এসব বক্তব্য নিয়ে সবার ও আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। শুধু শিক্ষা উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল হাসান তাৎক্ষণিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ১৪ নভেম্বর বলেছিলেন ‘যতটুকু বলেছেন ক্ষমা চেয়ে সাবধান হয়ে যান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করলে ঘাড় মটকে দেবো।’ এরপর ১৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে কারো কোন কথা আমলে নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই।’ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামুনুল হকের মন্তব্যের প্রতিবাদ ও তাকে গ্রেফতারের দাবিও উঠে ।

তড়িৎ কোন বিবৃতি না দিলেও গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ধর্মান্ধ শক্তি হেফাজতের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘কোন প্রকার ধৃষ্টতা দেখালে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িকতার বীজ এই দেশে ছড়িয়ে দিতে চায়, তারা দেশদ্রোহী বলে বিবেচিত হবে। তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না, এদেশে দেশদ্রোহীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয়েছে। এ সময় তিনি মামুনুল হকদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন। একইদিন বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের আয়োজিত সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তা দেশদ্রোহিতার শামিল। এরপর তার নাগরিকত্ব থাকতে পারে না। কোনোভাবেই মামুনুল হককে চট্টগ্রামে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অবশ্যই প্রতিহত করা হবে। সরকার চাইলে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতের কেউ নিরাপদে ফিরে আসতে পারত না। জামায়াত-বিএনপি, কাসেমী-মামুনুল হক সব একই জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী। সমাবেশ শেষে মামুনুল হকের একটি কুশপুতুল দাহ করা হয়। সর্বশেষ মাওলানা মামুনুলের চট্টগ্রাম যাওয়া প্রতিহত করার ঘোষণাও দেয় সেখানকার ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতির মুখে সেখানে পূর্বনির্ধারিত ইসলামী সভায় উপস্থিত হতে দেখা যায়নি মামুনকে। তবে ওই সভায় উপস্থিত হেফাজতের নতুন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ফের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। এবং সরকারি দলের লোকজনের প্রতিবাদী অবস্থানের কারণে উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন- ‘আমার বাপের ভাস্কর্য হলেও সেটা টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে ফেলা হবে।

এই সময়ে গত শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে এবং গতকাল শনিবার কাকরাইল এলাকায় ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলকারীরা পুলিশেল সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অংশ নেয়।

২০১৪ সালে এক বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মদিনা সনদ বাস্তবায়ন করা হবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেই বক্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জুনাইদ বাবুনগরী শক্রবার চট্টগ্রামের সভায় বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে, তাহলে কোন ভাস্কর্য থাকতে পারে না’। এসব ঘটনা পর্যবেক্ষণে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। হেফাজতের উগ্রতা ও বাড়াবাড়ি দেখে অবশেষে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি গতকাল শনিবার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অনাহুত বিতর্কের সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের সংস্কৃতির প্রতি চ্যালেঞ্জ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রিয় মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। সরকারের সরলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না, জনগণের শান্তি বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টায় জনগণই রুখে দাঁড়াবে। দেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য বরদাশত করা হবে না। উল্লেখ্য, নানা ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে এর আগেও বিরোধিতা করেছে হেফাজত। তাদের দাবির মুখে হাইকোর্টের সামনে থেকে লেডি জাস্টিসিয়ার ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক মঞ্চে পা রাখে নিজেদের অরাজনৈতিক ও ইসলামপন্থী বলে পরিচয় দেওয়া মরহুম আল্লামা শফির এই সংগঠন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর  আল্লামা শফির মৃত্যুর পর  তার ছেলে আনাস মাদানী ও জোনায়েদ বাবুনগরীর দীর্ঘ কোন্দলে আসে নতুন সমীকরণ। এই সমীকরণের রেশ ধরেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে (কাউন্সিল) ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সম্মতিতেই দলের লাগাম পান বাবুনগরী। হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটিতে যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা মামুনুল। সেই কমিটিতে সংগঠনটির সদ্যপ্রয়াত আমির মাওলানা আহমেদ শফীর অনুসারীদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শফীর অনুসারীরা নতুন কমিটি ‘জামায়াত-শিবির’ ও ‘উগ্রপন্থিদের’ দখলে যাওয়ার অভিযোগ করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কমিটির বিরোধীতা করে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেছিলেন, ‘বিএনপি জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীকে হেফাজতের নতুন কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে। বাকি যারা আছেন তারাও জুনায়েদ বাবুনগরীর আত্মীয়-স্বজন।’

২০১৩ সালেই শাহবাগ আন্দোলনের সময় থেকেই জামায়াতে ইসলামির কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য ও স্বাধীনতাযুদ্ধের মানবতাবিরোধীদের বিচার বানচালের অভিযোগ আসছিলো এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। এসেছিল তালেবানের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও। সে বছর ৬ মার্চের ঢাকা অভিমুখী লংমার্চের সময়েই এই সংগঠনের একজন সংগঠক মাওলানা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে এক বুলেটিনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে অভিযোগ করা হয় যে, ১৯৮৮ সালের আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি আফগানিস্তান ভ্রমণ করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি এবং তালিবান সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ করা হয়। সে সাক্ষাৎকারে তিনি প্রকাশ করেন যে, তার সাথে ওসামা বিন লাদেন ও হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামির আমন্ত্রণের কারণেই আমার আফগানিস্তÍান ভ্রমণ সম্ভব হয়েছে। আমরা যারা আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্র ভ্রমণ করছি তারা হলেন, শাইখুল হাদিস, আতাউর রহমান খান, সুলতান যাউক, আবদুল মান্নান, হাবিবুল্লাহ, আমি নিজে এবং আরও তিনজন।’ বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক বছর ধরে সরকারের সাথে সখ্যতার প্রশ্নে ইসলামপন্থী বলে দাবি করা এই সংগঠনটিতে পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি ধারার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ সরকারবিরোধী বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলের নেতারাও সংগঠনটিতে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মদতপুষ্ট এ সংগঠনই এখন আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত অনেকের।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]