অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে সদস্য পদে নিযুক্ত
প্রকাশ: রোববার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সম্প্রতি সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, কমিশনের বিশিষ্ট নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পালকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (জীব বিজ্ঞান) পদে চলতি দায়িত্বে নিয়োগ দান করেছেন। অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল, সাতক্ষীরা জেলার, তালা থানার, কানাইদিয়া গ্রামের সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির হাইস্কুল, খুলনা থেকে এস.এস.সি, এম এম সরকারী সিটি কলেজ, খুলনা থেকে এইচ.এস.সি এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১লা মার্চ, ১৯৯০ সালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন, খুলনা-এ যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সনে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের উপর ¯œাতোকোত্তর ডিপ্লোমা এবং যুক্তরাজ্য, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কোরিয়া, চিনসহ বেশ কয়েকটি দেশের উন্নত হাসপাতাল থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আই.এ.ই.এ) ও অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ফেলোশিপ-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। দেশী ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর প্রায় ১০০ টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি চিকিৎসা সেবা ও গবেষণার পাশাপাশি চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। কমিশনের সদস্য (জীববিজ্ঞান) পদে দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে তিনি দীর্ঘ দিন ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালাইড সায়েন্সেস, খুলনা এর পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চিকিৎসক, গবেষক ও শিক্ষকতা পেশায় নিবেদিত ব্যক্তি। তিনি প্রশাসনিক দক্ষতার পাশাপাশি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যেমন: সোসাইটি অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন বাংলাদেশ (এসএনএমবি), বাংলাদেশ সোসাইটি অব আল্ট্রাসানোগ্রাফি (বিএসইউ), বাংলাদেশ থাইরয়েড এসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), ইত্যাদি। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিউক্লিয়ার মেডিসিন সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং ও বৈজ্ঞানিক সফরে আমেরিকা, জার্মানী, ফিলিপাইন, জাপান, ভারত, কোরিয়া, চীন ইত্যাদি দেশ সফর করেছেন। তিনি কমিশনের চিকিৎসা সেবা, গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতকোত্তর গবেষণার তত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।