প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৭:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন গাছিরা। শীতের শুরুতেই অযতেœ অবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছের কদর বেড়ে উঠেছে। গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। শুরু করেছেন প্রাথমিক পরির্চযাও। যাকে এক কথাই বলা হয় গাছ তোলা। এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাছ দিয়ে নলি ও গুছা লাগানো হবে খেজুর গাছ থেকে রস বের করতে তিনটি স্তর পেরিয়ে ১৫-২০ দিন পরেই রস আহরণ শুরু করা হবে।
হালুয়াঘাটে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশে থাকা খেজুর গাছ চাছার দৃশ্য গাছিরা গাছ চাছাড় ব্যস্ত সময় পাড় করছে। আর কিছু দিন পরই মধু বৃক্ষ থেকে সুমধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড়, পাটালি, তৈরির উৎসব।সুস্বাদু ও পিঠাপুলির জন্য অতি জুরুরি উপকরণ হওয়াই খেজুরের রসের চাহিদা বেড়ে যায়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই খেজুর গাছ আজ অবহেলায় অযতেœ বিলুপ্তের পথে। যে পরিমানে খেজুর গাছ নিধন হচ্ছে সে তুলনায রোপন করা যাচ্ছে না অঞ্চলগুলো থেকে গাছ কমে গেছে। খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা, পায়েস, মুড়ি, মোয়া ও নানা রকমের মুখরোচক খাবার তৈরি করার ধুম পড়বে কদিন পরেই। আর রসে ভেজা বিভিন্ন ধরনের পিঠার স্বাদই আলাদা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গাছিরা শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেছে।
শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে খেজুর গাছ কাটার প্রতিযোগিতায় গাছিরা খেজুর গাছ পরিস্কার করার জন্য গাছি দা, পাটের দড়ি, মাটির কলস, বাঁশের চটি ব্যবহার করে থাকে।
জব্বার আলী এক গাছির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তিনি খেজুর গাছের রস সংগ্রহে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন তিনি এক সপ্তাহে প্রায় ২০ টি খেজুর গাছ পরিস্কার করে ছিলে রেখেছেন রস সংগ্রহের জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছর খেজুর গাছ অনেক কমে গেছে প্রতি বছর শীত এলেই তিনি খেজুরের রস সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রি করে থাকেন। রস বিক্রি করে সংসার চালান। প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঠিলা খেজুরের রস তিনি সংগ্রহ করেন। প্রতি গ্লাস রস ২০ টাকা ও ৮০ টাকা সের দরে বিক্রি করে থাকেন এতে করে শীত মৈাসুমে রোজগার মোটামোটি ভালো হয় বলে জানান।