প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৭:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান করার পরেও কক্সবাজার কলাতলির ডলফিন চত্তর ও হোটেল-মোটেল জোনের বিভিন্ন পয়েন্টে সক্রিয় রয়েছেন অবৈধ বাস স্ট্যান্ড ও কাউন্টার। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন অবৈধ লাইন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর আইন প্রয়োগ হচ্ছে না বিধায় তাঁরা এখনো বহাল তবিয়তে। এ ক্ষেত্রে কিছু ট্রাফিক কর্তাবাবুদের দুর্বলতা আছে বিধায় তাদের সামনে ওসব অবৈধ লাইন চলছে। স্থানীয়রা এ বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলাতলির স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, হারুণ উর-রশিদ মিঠুন, ফোরকান, পারবেজ মোশারফ, হোটেল ব্যবসায়ী মুকিম ও দরিয়া নগর গ্রীন ভয়েস এর সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সায়েমসহ অনেকেই জানান, বিশেষ করে পুলিশের একসাথে বড় রদবদল হওয়ার সুযোগে “কক্সবাজার পর্যটকদের প্রথম আকর্ষণ ডলফিন চত্তরটি অবৈধ বাস স্ট্যান্ড ও কাউন্টারে দখল হয়ে গেছে। যার কারণে পর্যটকসহ স্থানীয়দের চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতা ও যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ঐ স্থানের ঝুপড়ি ভাসমান দোকান, ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনার কারণে শ্রীহিন হয়ে পড়েছে। সেখানে চুরি-ছিনতাই, পতিাতা ও বকাটদের উৎপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পর্যটসহ স্থানীয়রা হয়রানির শিকারও হচ্ছে। যদিওবা ইতোমধ্যে কক্সবাজার নবাগত পুলিশ সুপার আসার পর পরিবহন সেক্টরে শৃংঙ্খলা আনতে নানান মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে ইতোমধ্যে সকালের কাছে তিনি প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। তবে মাঠ পর্যায়ে কিছু কর্তাবাবুদের ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এ শৃঙ্খলা বাস্তবায়নে বিঘœ ঘটছে। না হয় তাদের সামনে কলাতলিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টারগুলো কিভাবেই চলছে ? তারা মান্যবর পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি এ ডলফিন চত্তরটি অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করে পর্যটক আকর্ষণে শোভাবর্ধন করারও দাবী জানান।
স্থানীয়দের আরো অভিযোগ জৈনক বাহার মোল্লাহ, জহিরসহ একটি সিন্ডিকেট কথিত “বীচ ট্যুরিস্ট কার সার্ভিস” এর নামে একটি অবৈধ লাইন পরিচালনা করছে। যেখানে প্রায় ৮০টি অবৈধ গাড়ি চলছে। আর অবৈধ লাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। অন্যদিকে ওসব গাড়ির দৌরাত্ম্যে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভটিতে সড়ক দুর্ঘটনাও বাড়ছে। পাশাপাশি এ ড্রাইভটিতে কলাতলি টু টেকনাফ, টেকনাফ টু কক্সবাজার রাত-বিরতে অবৈধ যানবাহনগুলো যাতায়তের কারণে নিরাপদে মাদক পাচারেরও অভিযোগ উঠছে। তাই কলাতলিসহ কক্সবাজার শহরজুড়ে সব অবৈধ বাস ও স্ট্যান্ড অপসারণ দাবী জানিয়েছেন।
আপনাদের সামনে এ অবৈধ লাইনগুলো চলছে, মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কক্সবাজার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) আমজাদ হোসেন বলেন, এব্যাপারে তাহার কোন বক্তব্যে নেই। আপনি যা খুশি তা লিখেন বলে দায়সারাভাবে ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, কলাতলির হোটেল মোটেল জোনে যেসব অবৈধ বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টার রয়েছে এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পর্যটন সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে কয়েকদফা অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। তাঁর পরেও যদি তা অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইমারজেন্সি ব্যতীত সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যটন্ত টার্মিনাল থেকে কোন বাস শহরে প্রবেশ করতে পারবে না।
উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার পর্যটকের প্রথম আকর্ষণ কলাতলির ডলফিন চত্তরের অবৈধ বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করার পরও এখনো সক্রিয় ওসব অবৈধ বাস স্ট্যান্ড।