প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বোলিং, ব্যাটিংয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্সে জেমকন খুলনাকে স্রেফ উড়িয়ে দিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ঢাকার পর খুলনাকেও তারা নিজেদের সামনে দাঁড়াতে দেয়নি।
ঢাকাকে চট্টগ্রাম অলআউট করেছিল ৮৮ রানে। এবার খুলনা অলআউট ৮৬ রানে। ২ রানের কম লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম জিতেছে আগের ব্যবধানে। ৩৮ বল আগে ৯ উইকেটের জয়ে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’- এ টানা দুই জয় তুলে নিয়েছে মোহাম্মদ মিথুনের দল।
বোলাররা ম্যাচের ভিত গড়েও চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ছিলেন দুর্দান্ত। লিটন ও সৌম্য এদিনও উইকেটের চারিপাশে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছোটান। পাওয়ার প্লে’তে চট্টগ্রামের রান বিনা উইকেটে ৩৯। হাসান মাহমুদের করা তৃতীয় ওভারে লিটন একাই নেন ১৭ রান। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম বল পর্যন্ত টানা চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। প্রথমটি মিড উইকেটে। পরেরটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট। পরের দুইটি কভার ও মিড অন দিয়ে। পরের ওভারে সাকিবকে অবশ্য বেশ সমীহ করেই খেলেছেন ডানহাতি ওপেনার।
সৌম্যও কম যাননি। আল-আমিন, শামীম, মাহমুদউল্লাহকে উড়িয়েছেন দারুণভাবে। তবে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারেননি এ ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহর হাওয়ায় ভাসানো বল তুলে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ২৬ রানে। বাকি কাজ সারেন লিটন ও মুমিনুল। ৯ চারও ৪৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন। মুমিনুল অপরাজিত ৫ রানে।
এর আগে চট্টগ্রামের অসাধারণ বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে খুলনা ১৭.৫ ওভারে অলআউট মাত্র ৮৬ রানে। এখন পর্যন্ত যা টুর্নামেন্টের দলীয় সর্বনিম্ন রান। শেষ ম্যাচে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকাকে।
মোস্তাফিজ ৪ উইকেট নিয়ে গাজী গ্রুপের নায়ক হলেও খুলনা শিবিরে শুরুর ধাক্কা দিয়েছেন স্পিনার নাহিদুল। ডানহাতি স্পিনারের প্রথম ওভারে সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন এনামুল হক বিজয়। মিড অনে বল পাঠিয়ে রান নেওয়ার জন্য দৌড় দিলেও সাকিব সাড়া দেননি। ৬ রানে শেষ হয় বিজয়ের ইনিংস। এরপর সাকিব আলগা শটে নাহিদুলের বলে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেকের হাতে। এবার সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান।
নাহিদুলের দ্বিতীয় শিকার খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বাজে শটে এলবিডব্লিউ হন ১ রানে। এরপর তাইজুল জোড়া আঘাত করেন খুলনা শিবিরে। আগের দুই ম্যাচে রানের খাতা না খোলা ইমরুল এবার ২১ রানে স্লগ সুইপ করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। অমি ১৪ রানে স্ট্যাম্পড হন বাঁহাতি স্পিনারের বলে।
নতুন বলে মোস্তাফিজ করেছিলেন ১ ওভার। রান দিয়েছিলেন ২। ১৪তম ওভারে ফিরে মোস্তাফিজ ভয়ংকর হয়ে উঠেন। ৩ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। ৮ বলে ১১ রান করা শামীম মোস্তাফিজের স্লোয়ার উড়াতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন। এরপর রিশাদ (০), আরিফুল হক (১৫) ও আল-আমিন (০) একে একে সাজঘরে ফেরেন।
মাঝে আরিফুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট শহীদুল (৫) । লোয়ার অর্ডারে উইকেট নিলেও মোস্তাফিজের বোলিং ছিল অসাধারণ। নিখুঁত লাইন ও লেন্থ মেনে বোলিং করেছেন। বোলিংয়ে ছিল বৈচিত্র্য। নিয়মিত স্লোয়ারের সঙ্গে বাউন্স, শর্ট বল করেছেন।