বঙ্গবন্ধু টি- টয়েন্টি কাপের চম্বুক অংশ
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ২:৫৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
খুশি শান্ত : কাগজে-কলমে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দলগুলোর মধ্যে শক্তিমত্তার দিক দিয়ে পিছিয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তারা পর্বতের সঙ্গে লড়াই করে তাকে হেলিয়ে দিয়েছে। এজন্য দলটির ক্যাপ্টেন নাজমূল হাসান শান্ত বেজায় খুশি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান শান্ত। দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারার কারণে এমন ফল এসেছে বলে মনে করেন রাজশাহীর অধিনায়ক। এসময় তিনি দলের বোলারদের বেশ প্রশংসা করেন। শান্ত বলেন, ‘শেষ দুটি ম্যাচে তারা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুবই খুশি। সকল বোলার অসাধারণ বল করেছে। বিশেষ করে এবাদত নতুন বলে দুর্দান্ত বল করেছে। অন্যদিকে আরাফাত সানি, মেহেদি এবং সবাই বেশ ভালো বল করেছে। আমি মনে করি এটাই আমাদের দলীয় পরিকল্পনা ছিল। তারা সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে। ‘তারকায় ঠাসা বেহাল খুলনা : অন্যদিকে দলে ভালো ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও ভালো করতে পারছে না মাহমুদউদল্লাহর খুলনা। রাজশাহীর বিপক্ষে হারের জন্য বাজে ব্যাটিংকেই দায়ী করেছেন খুলনার অধিনায়ক। ব্যাটসম্যনাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে বলে মনে করেন তিনি।মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি বলতে চাই টপ অর্ডারে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করেছি। ৫০-৬০ রানের মধ্যে পাঁচটা উইকেট হারিয়েছে। আমার মনে হয় এটা কোনো অজুহাত না। আমাদের আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে। ব্যাটিং বিভাগের আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ‘
বাকি ৯ এ ৩৯ নাঈম একাই ৪০ :টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ বলে বিবেচিত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের রান ১০ বলে শূন্য। এরপর অধিনায়কের বিদায় প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ খেলে। এই দুটি কেবল উদাহরণ। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ছাড়া ঢাকার বাকি ব্যাটসম্যানদেরও একই দশা। বোলিংয়ে তাদেরকে গুঁড়িয়ে ব্যাটিংয়েও উড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম।মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গত বৃহস্পতি বার ঢাকার ইনিংস ৮৮ রানেই শেষ করে দেয় চট্টগ্রাম।ঢাকার ইনিংসের প্রায় অর্ধেক রান আসে নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। ২৩ বলে করেন তিনি ৪০। দলের বাকি সব ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত রান ৩৯। বাকি ৯ রান অতিরিক্ত।
৯ উইকেটের জয় : এবারের আসওে দ্বিতীয় দিনে এসেই বিরাট জয়ে নিজেদেও রঙিন করলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ছোট্ট রান তাড়ায় সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটিই চট্টগ্রামকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। কেবল লিটনের উইকেট হারিয়ে জিতে যায় তারা ১০.৫ ওভারে।৩৩ বলে ৩৪ রানে আউট হন লিটন। সৌম্য অপরাজিত থেকে যান ২৯ বলে ৪৪ রানে।টস জিতে বোলিং নেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই এগোয় চট্টগ্রামের পরিকল্পনামতো।
বোলারদের দাপট :বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু হয় চট্টগ্রামের দাপট। বল হাতে মোসাদ্দেক হোসেন, নাহিদুল ইসলামরাও দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। শুরুতে খরুচে হলেও মুস্তাফিজুর রহমান ও তাইজুল ইসলাম পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে শিকার ধরেন দুটি করে।৯ উইকেটের জয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু করল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলগুলির একটি বেক্সিমকো ঢাকা হেরে গেল প্রথম দুই ম্যাচই।
দলের খেলায় সন্তুষ্ট মিঠুন :কাগজে-কলমে পিছিয়ে থাকলেও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাঠের ক্রিকেটে প্রমাণের তাড়না ছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল বেক্সিমকো ঢাকাকে অনেকটা উড়িয়ে দিয়ে শুভ সূচনা করে সেটির ছাপ রেখেছে তারা। নিজের ক্রিকেটারদের উপর বিশ্বাস রাখার ফল পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন বলছেন উইকেট নিয়ে নেই কোন অভিযোগ।
সংহার মুর্তিতে শরিফুল : শুরুতে ছন্দ পেতে একটুও সময় নেননি শরিফুল। ম্যাচের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক তানজিদ হাসান তামিমকে।ওই ওভারে কোনো রানই দেননি শরিফুল। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম মেডেন নিতে পারলেন কোনো বোলার।তানজিদের বিদায় কেবলই শুরু। একের পর এক ব্যাটসম্যান অনুসরণ করতে থাকেন তাকে।তিনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ সাব্বির রহমান। অনেক দিন ধরেই নিজেকে হারিয়ে খোঁজা ব্যাটসম্যান ব্যাটে-বলে করতেই ধুঁকছিলেন। শরিফুলের বলেই ফেরেন তিনি ১০ বলে শূন্য করে।