প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর সাতক্ষীরার নবজাতক সোহানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামে শিশুটির বাড়ির সামনের সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুনকে।
পুলিশ জানায়, দুই বছর আগে নানির বাড়িতে আশ্রিতা ফাতেমার বিয়ে হয় কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সঙ্গে। শ্বশুর বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারো স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়ি সদর উপজেলার হাওয়ালখালিতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি পুত্রসন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যেতে হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এই ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান যে, শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট ও নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। এসব কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনের যোগসাজশে শিশু হত্যা এবং মরদেহ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, 'বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে মরদেহটি ফেলে দেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শনিবার গভীর রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।' বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানাবেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।