পেনসিলভানিয়ায়ও ধরা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে। তার করা ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলাডেলফিয়ার একটি আদালত। খবর সিএনবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক দলের জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণার ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেছিল ট্রাম্প শিবির। মামলা প্রত্যাখ্যান করে আদালত বলেছে, পেনসিলভানিয়ায় জো বাইডেনের বিজয়ী ঘোষণা চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই।
এর আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল বাতিল চেয়ে আদালতে মামলাটি করেছিলেন। পেনসিলভানিয়া ফেডারেল আদালত ভোটের ফল প্রত্যয়ন করার ওপর আস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে ২৭ নভেম্বর মামলার শুনানি ঠিক করেছিলেন। অবশ্য এর আগেই রাজ্যের ভোটের ফল প্রত্যয়ন হয়ে গেছে।
এর আগে জর্জিয়া, মিশিগানের আদালতেও প্রত্যাখ্যাত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে ফল পাল্টে দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখার যে হুমকি ট্রাম্প গত ৩ নভেম্বরের পর থেকে দিয়ে আসছিলেন তা কার্যত আকাশ কুসুম কল্পনায় রূপ নিতে যাচ্ছে।
ফিলাডেলফিয়ার বিচারক প্যানেলের পক্ষে স্টিফানোস বিবাস লেখেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের প্রাণ। অন্যায়ের অভিযোগ গুরুতর হলেও, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বললেই তা হয়ে যায় না।’
বিবাস আরও উল্লেখ করেন, ‘মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের প্রয়োজন হয়। এখানে কোনোটিই নেই।’
আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় ট্রাম্প শিবির আপিল করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। রায়ের পর ট্রাম্পের আইনজীবী দলের অন্যতম জেনা এলিস এক টুইটবার্তায় বলেন, পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বিচার বিভাগ রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের ব্যাপক ভোট জালিয়াতি আড়াল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এখন বিষয়টি প্রমাণের জন্য তারা সুযোগ পাবেন বলে এমন রায়কে ধন্যবাদ জানান জেনা এলিস।
ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি জানিয়েছেন, পেনসিলভানিয়া ছাড়াও মিশিগান, নাভাদা, অ্যারিজোনা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটে অনিয়ম নিয়ে একইভাবে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত রাজ্য পর্যায়ের আদালতে, এমনকি সার্কিট কোর্টেও ভোট জালিয়াতি বা কারচুপির কোনো কার্যকর প্রমাণ ট্রাম্প শিবির উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্টের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে ৩০৬টি ভোট পেয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদ নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। এছাড়া পপুলার ভোটেও ট্রাম্পের চেয়ে ৬০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন বাইডেন।
২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন জো বাইডেন।