প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১১:২৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ১৯ নং ওয়ার্ডের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার দখল বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিকের হয়ে চাঁদাবাজি এমনকি আনারকলি মার্কেটের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় এই মাসুদ রানাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই বহিষ্কৃত যুবলীগের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার নানা অপকর্ম নিয়ে ভোরের পাতার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্যাসিনোকাণ্ডের অভিযান শুরুর আগে থেকেই সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ত্রাস হিসাবে পরিচিতি লাভ করে এই মাসুদ রানা। শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিকের অন্যতম সহযোগী হিসাবে এমন কোনো হীন কাজ নেই যেখানে এই মাসুদের হাত নেই। যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পরও শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ভাঙিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে অবৈধভাবে মৌচাকের আনারকলি মার্কেটের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে দিয়ে নিয়মিত চাঁদা এবং ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী দোকানদার ভোরের পাতার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কয়েকদিন পর পরই সিটি কর্পোরেশন থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর আবারো নতুন করে মাসুদ রানাকে টাকা না দিলে দোকান বসাতে দেয় না। এভাবে চলতে চলতে আমাদের ব্যবসায়ের পুঁজিই এখন হারানোর পথে রয়েছি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর আনারকলি মার্কেটের পিছন দিকে গাড়ি রাখার জায়গাতেই স্থায়ী এবং অস্থায়ী দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন মাসুদ রানা ও তার সহযোগীরা। এ জমির প্রকৃত মালিকানা সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের।
এছাড়া মাসুদ রানার বিরুদ্ধে সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত করেছেন বলেও অভিযোগ করেছে খোদ বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। এমনকি তার সহযোগীদের দ্বারা হামলারও শিকার হতে হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
অনারকলি মার্কেট দোকান সমিতির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ওই দোকানগুলোর সাথে আমাদের মার্কেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে ওই দোকানগুলো থাকায় আমরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এমনকি এই দোকানগুলোর কারণে ভয়াবহ যানজট সারাদিনই লেগে থাকে। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ রানাকে ফোন করা তার ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়া ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে মন্তব্য জানতে চেয়ে মাসুদ রানার কাছে।
চলবে....