ফাখরিজাদে হত্যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও একই কায়দায় ইরানের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করে মোসাদের এজেন্ট। তেহরানও ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছে।
শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর তেহরান থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আবসার্দ শহরের ভয়াবহ হামলার শিকার হন মহসেন। প্রথমে তার গাড়িতে বোমা হামলা, এরপর মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে হামলায় মুহসেনের দেহরক্ষী এবং পরিবারের সদস্যরাও গুরুতর আহত হন।
পশ্চিমাদের নজরে ফখরিজাদেহ ছিলেন ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী। তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশনস বিভাগ জানায়, ফাখরিজাদে মন্ত্রণালয়ের অর্গানাইজেশন অব ডিফেন্স ইনোভেশন অ্যান্ড রিচার্সের (এসপিএনপি) প্রধান ছিলেন।
এক দশক ধরে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণুবিজ্ঞানীদের ‘টার্গেট কিলিং’-এর জন্য অভিযুক্ত ইসরায়েল। নিজেরা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত করলেও ইরানের সেই সক্ষমতা অর্জনকে হুমকি হিসেবে দেখে দেশটি।
২০১০ থেকে ২০১২ এই দুই বছরে ইরানের চার শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। ইরানের অভিযোগ, পশ্চিমাদের মদদে ইসরায়েলের গোপন ঘাতক বাহিনীই তাদের হত্যা করে।