আ. লীগের উপ কমিটি নিয়ে শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশ!
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২০ এএম আপডেট: ২৮.১১.২০২০ ৯:৩৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পদটি বাতিল করা হলেও এ কমিটি গঠন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। প্রায় সকল সম্পাদকই তার উপ কমিটি দপ্তর সেলে জমা দেয়ার পরও ঘোষণা না দেয়ার পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কড়া নির্দেশ। এবারের উপ-কমিটিতে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী, বিশেষ করে প্রতারক সাহেদের মতো কেউ যেন কোনোভাবেই প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য প্রত্যেক দলীয় সম্পাদক এবং বিভিন্ন সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশেষ যাচাই-বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করার জন্য।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে প্রতিটি বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে উপ-কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ থাকলেও কমিটির সদস্য সংখ্যার বিষয়ে কিছু বলা নেই। উপ-কমিটি নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সর্বোচ্চ ৩৫ জন সদস্য নিয়ে তা গঠন করা কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়ভিত্তিক অনেক সম্পাদকই মনে করছেন, এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়। অনেক সম্পাদকই নাম প্রকাশ না করে ভোরের পাতার এ প্রতিবেদককে বলেছেন, আমাদের কাছে নানান জনের জন্য তদবির আসছে। কিন্তু আমরা কোনো তদবিরই কানে নিচ্ছি না। যারা আগের উপ কমিটিতে ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে অনেকেই বাদ পরেছেন। পাশাপাশি যারা ক্লিন ইমেজের রাজনীতি করেছেন তাদের রাখা হয়েছে। তবে সংখ্যাটা ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ বা তার চেয়ে একটু বেশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকরা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ, জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্য, সংশ্লিষ্ট সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়েই ৩৫ জনের সংখ্যা পার হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে কর্মীরা পরিশ্রম করেন, বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটির জন্য কাজ করেন, তাদের জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫ এর ৬ উপ-ধারায় বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেখানে যোগ্যতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক সম্পাদককে সদস্যসচিব এবং সভাপতিমণ্ডলী বা উপদেষ্টা পরিষদের কাউকে চেয়ারম্যান করার বিধান রাখা হয়েছে।
উপ কমিটি ঘোষণা নিয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কমিটি প্রস্তুতই রয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রধান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেদিন বলবেন সেদিনই ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে শেষ মুহুর্তের যাচাই বাছাই চলছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো অনুপ্রবেশকারী বা বিতর্কিত কেউ যেন ঠাঁই করে নিতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।