ফুটবল বিশ্বের ‘ঈশ্বর’ খ্যাত ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মৃত্যুর আগে কোনও ধরনের চিকিৎসা না দিয়ে তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল এবং তার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়ও অ্যাম্বুলেন্স আসে অনেক দেরি করে- ম্যারাডোনার আইনজীবী ও বন্ধু ম্যাটিস মোরলা। তার এমন দাবির বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল সংবাদ প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, মোরলার অভিযোগ- ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিন (বুধবার) তাকে ১২ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তিনি যখন খুব অসুস্থ বোধ করছিলেন তখনও অ্যাম্বুলেন্স আসে প্রায় ৩০ মিনিট দেরি করে। দু’সপ্তাহ আগেই এই কিংবদন্তি ফুটবল তারকার ব্রেইন সার্জারি করা হয়েছিল।
যদিও এ ঘটনাকে ম্যারাডোনার ‘সারল্য ও বোকামিমূলক অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তদন্ত দাবি করেছেন মোরলা। ইতোমধ্যে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, হৃদরোগেই ম্যারাডোনা মারা গেছেন। ঘুমের মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের সমাধির পাশেই সমাহিত করা হয় ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত এই ফুটবল যাদুকরকে।
গত বুধবার আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার চলে যাওয়ার খবরে শোকে মুষড়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। দেশে দেশে ক্রীড়াঙ্গনে নামে শোকের কালো ছায়া।
ম্যারাডোনাকে সবশেষ জীবিত অবস্থায় দেখেছেন তার এক আত্মীয়, সেটা গত ২৪ নভেম্বর রাত ১১টায়। ম্যারাডোনা তখন ঘুমোতে যাচ্ছিলেন। এরপর পর ম্যারাডোনার সঙ্গে আর কারও দেখা হয়নি।
১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার বেড়ে উঠা ভিয়া ফিওরিতোতে। শৈশবেই ফুটবলের প্রতি ভীষণ অনুরক্ত হন এ কিংবদন্তির।