সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
কুলাউড়া ইউএনও অফিসের রুনার কাণ্ড!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ৭:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

 ছবিতে- রুনা বেগম

ছবিতে- রুনা বেগম

কুলাউড়া ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক রুনা বেগম। তার বিরুদ্ধে সরকারি ঘরের তালিকায় নাম সংযুক্ত করে দেয়ার জন্য হতদরিদ্র নারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার ১০ থেকে ১২ জন নারী ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীকে সরাসরি বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক কয়েকজনের টাকা ফেরৎ দেন রুনা। এই রুনা বেগমের আরও নানা অপকর্মের গুঞ্জন রয়েছে মানুষের মাঝে।

অভিযোগ রয়েছে, পার্শবর্তী উপজেলা শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা রুনা বেগম ২০১৩ সালে কুলাউড়ায় যোগদানের পরপরই নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। নিজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেক সময় কোন পাত্তাই দেন না। সরকারের উপর মহলে তার নিজস্ব লোক আছে, এমনটি প্রচার করে অফিসে নিজের মনমর্জি আসা-যাওয়া এবং চলাফেরা করেন। তার দম্ভোক্তিমূলক কথার স্রোতে অনেকেই তার সাথে তর্কে জড়ানোর সাহস করেন না।

উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকার বাসিন্দা হোছনারা বেগম জানান, তিনি বিভিন্ন কাজে উপজেলা পরিষদে আসা-যাওয়া করেন। এরপর পরিচয় হয় ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রুনা বেগমের সাথে। এই সুবাদে রুনা বেগম তাকে বলেন, এলাকায় হতদরিদ্র নারী থাকলে তাদের নাম তিনি সরকারি ঘরের তালিকায় তুলে দিতে পারবেন। বিনিময়ে তাকে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

এই কথা শুনে হোছনারা বেগম সাদিপুর ও মীরশংকর এলাকার ২০ জন হতদরিদ্র নারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং জনপ্রতি ১ হাজার করে ২০ টাকা রুনা বেগমের হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে রুনা বেগম যাতায়াত খরচের জন্য হোছনারাকে কিছু টাকা দেন। কিন্তু টাকা নেয়ার ৩ মাস পর থেকে রুনা বেগম তাকে কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না।

অফিসে গেলেই এই সপ্তাহে হবে, আগামী সপ্তাহে হবে বলে ফিরিয়ে দেন। এলাকার মহিলাদের বকাঝকা সইতে না পেরে হোছনারা নিরুপায় হয়ে ইউএনও'র শরণাপন্ন হন।

একই ইউনিয়নের মীরশংকর এলাকার বাসিন্দা রুবেনা বেগম, আছলিমা বেগম, আমেনা বেগম, রেনু বেগমসহ উপস্থিত ১০-১২ জন নারী জানান, তারা সকলেই পৃথকভাবে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে রুনা বেগমের কাছে দিয়েছেন। তিনি (রুনা) বলেছেন সরকারি ঘরের তালিকায় তাদের নাম দেবেন। তারা সকলেই পাকা ঘর পাবে। কিন্তু এখন রুনা বেগম টালবাহানা শুরু করায় তারা ইউএনও'র কাছে বিষয়টি জানাতে এসেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে তারা লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহায়ক রুনা বেগম ২০ হাজার টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯শ' টাকা নিয়েছিলাম। কিন্তু স্যারের কাছে বিচার দেয়ায় সেই টাকাগুলো ফেরৎ দিয়েছি।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, কয়েকজন নারী এসে বিষয়টি বলার পর রুনা বেগমকে তাৎক্ষণিক টাকা ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]