সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
যে কারণে হঠাৎ বেড়ে গেল মাস্কের দাম!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

শীত বাড়ছে। বাড়ছে করোনা সংক্রমণও। ঝুঁকি বাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ায় মাস্কসহ সব সুরক্ষা পণ্যের দামও আবার বাড়ছে। ৮-১০ দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিটি মাস্কের দাম ২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর বক্সপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমনটিই জানা গেছে। দাম বৃদ্ধির পেছনে আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

তারা বলছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও চলছে। অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণও করা হচ্ছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকরা মাস্কের দাম বাড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা। ক্রেতারাও বলছেন, চাহিদা বাড়ার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় মাস্কের দাম বাড়াচ্ছেন।

কাওরান বাজারের সোনারগাঁও রোডের ফুটপাথে বসে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করেন সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৮-১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের মাস্কের দাম বেড়েছে। মান ভেদে সার্জিক্যাল মাস্কের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। কিছুদিন আগে মাঝারি মানের মাস্ক ৩ পিস ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেগুলো এখন প্রতি পিস ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে বক্সপ্রতি যে মাস্কগুলো ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেগুলো এখন বক্সপ্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন মানের মাস্কের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

সরজমিন দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতনতামূলক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গণপরিবহনের যাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী ও ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের মাঝে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে মাস্ক ব্যবহার বাড়ছে। যাদের মাস্ক ব্যবহারে অনীহা ছিল তারাও এখন বাধ্য হয়ে মাস্ক ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা থেকেও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাস্কের এই চাহিদাকে পুঁজি করে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তবে মাস্কের সংকট নেই বলে জানান বিক্রেতারা। মালিবাগ মোড়ের মাস্ক বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, দাম বাড়লে আমাদের বাড়তি কোনো মুনাফা নেই। এতে আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা লাভবান হয়। আমরা যে দামেই মাস্ক নেই না কেন বেশি লাভ করার সুযোগ নেই। ১০ টাকায় কিনি আর ১৫ টাকায় কিনি আমাদের লাভ সর্বোচ্চ ৫ টাকা। কিন্তু তারা ডাবল ডাবল লাভ করছে যারা মাস্ক উৎপাদন করে। তারা দাম বাড়ালে আমাদের তো কিছু করার নেই। বাজারে তো মাস্কের সংকট নেই। কিন্তু তারা আমাদের থেকে বেশি রাখছে তাই আমরাও বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করছি। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগেও মানুষ মাস্ক কম ব্যবহার করেছে, এখন ব্যবহার বাড়ছে। কয়েকদিন আগে মাস্কের দামও কম ছিল। কিন্তু এখন এক বক্স মাস্কের দাম ৫০-৬০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাই আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও তিন-চারটি মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি করেছি কিন্তু বক্সপ্রতি দাম বেড়ে যাওয়ায় একটি মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, রাজধানীর বাজারে সার্জিক্যাল মাস্কের চাহিদা বেশি রয়েছে। ৫০টি মাস্কের এক বক্স সার্জিক্যাল মাস্ক আগে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন সার্জিক্যাল মাস্ক সর্বনিম্ন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগে শান্ত নামের একজন ক্রেতা জানান, দেশের এটা কমন বিষয়। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যেটার চাহিদা একটু বাড়বে সঙ্গে সঙ্গে সেটার দাম বাড়ানো হবে। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি হয়ে গেছে। তারা দাম বাড়ালে তো আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বেশি দামে কিনতে বাধ্য। তাদের তো আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এখন অভিযান চলছে মাস্ক পরানোর জন্য; জরিমানাও করা হচ্ছে। কিন্তু উচিত হলো- সবাই যেন কম মূল্যে মাস্ক কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করা, যারা দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ যারা, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ যারা তাদের জন্য তো প্রতিদিন ১০-১৫ টাকা দিয়ে মাস্ক কিনে পরাটা কষ্টকর। তাছাড়া এটা অবশ্যই অনুচিত যে চাহিদা বাড়লেই একটা জিনিসের দাম বাড়বে। বরং দাম যেন সকলের নাগালের মধ্যে থাকে সেটা নিশ্চিত করা উচিত। তিনি বলেন, এখন বক্সপ্রতি মাস্কের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা। অথচ ২০ দিন আগে আমি এক বক্স ৮০ টাকায় কিনেছি। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]