প্রকাশ: বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৯:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিভিন্ন সময়ে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন নারীরা। নির্যাতন সইতে না পেরে অনেকেই স্বামীর সংসার ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। আবার অনেকে নারী নির্যাতনের মামলা করেন।
ঠিক এমনই ৪৭টি মামলায় কাউকে কারাগারে না পাঠিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে থাকার শর্তে স্বামীদের খালাস দেন বিচারক মো. জাকির হোসেন। বিচারকের এমন রায়ে সংসারের ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে ৪৭টি পরিবার। মা-বাবার মধ্যে ফের সম্পর্ক জোড়া লাগায় উচ্ছ্বসিত সন্তানরা।
বুধবার ( ২৫ নভেম্বর ) দুপুরে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ব্যতিক্রমধর্মী এ রায় দেন বিচারক মো. জাকির হোসেন। এ সময় এজলাসের সামনেই জামিনে থাকা স্বামীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন স্ত্রীরা।
বিভিন্ন সময়ে নানামুখী নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ৪৭ জন নারী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এসব মামলায় অনেক স্বামীই কারাগারে ছিলেন। কেউ কেউ জামিনেও ছিলেন। মামলার কারণে সংসারের বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। মা-বাবার কলহের কারণে ছিটকে পড়ে শিশু সন্তানরাও। এতে নারীরা আরো অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এছাড়া সন্তানদের লেখাপড়া ও স্বাভাবিক বিকাশও ব্যাহত হয়।
আদালত এসব মামলা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। সংসার জোড়া লাগানোর জন্য স্বামী ও স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন আইনজীবী ও মামলার সংশ্লিষ্টরা। একপর্যায়ে উভয়ের সম্মতিতে মামলার রায়ের দিকে না গিয়ে স্ত্রীদের ফের বরণ ও সন্তানদের ভরণপোষণের শর্তে স্বামীদের জামিনের সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। স্বামীরাও বিষয়টি মেনে নিয়ে ফের সাংসারিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এতে আদালত রায়ে না গিয়ে ৪৭ জন স্বামীকে খালাস দেন।
আদালতের পিপি নান্টু রায় বলেন, ৪৭টি পরিবারকে জোড়া লাগিয়ে দিয়ে আদালত বিরল রায় দিয়েছে। এর ফলে স্ত্রী ফিরে পেয়েছেন স্বামী, সন্তান ফিরে পেয়েছে বাবা। এতে ভাঙনের মুখে থাকা অনিশ্চিত জীবনে আবারো আশার আলো দেখা দিয়েছে।