প্রকাশ: বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঐতিহ্যবাহী কমলাপুর রেলস্টেশন কিছুটা উত্তরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা দিয়েছে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার রেল ভবনে এ সংক্রান্ত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্টেশন ভবনটি ভাঙা পড়তে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি সাপেক্ষে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কারিগরি দিক তুলে ধরে জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজিমা করপোরেশনের নেতৃত্বে একটি সাবওয়ার্কিং গ্রুপ।
মেট্রোরেল এবং এর সব স্টেশনই হবে উড়ালপথে, মাটি থেকে কমবেশি ১৩ মিটার ওপরে। এর ফলে শেষ স্টেশনটি বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশন ভবনের সামনের অংশ ঢেকে দেবে।
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। এর শেষ স্টেশনটি পড়েছে কমলাপুর স্টেশনের ঠিক সামনে। মেট্রোরেলের পথ পরিবর্তিত হয়ে নাকি কমলাপুর স্টেশন সরানো হবে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলে আসছে।
এ প্রসঙ্গে রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব গড়ে তোলা হবে, যা শাহজাহানপুরসহ আশপাশের রেলের জায়গাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশনের আদলেই নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পাঁচ বছরের মধ্যেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। বাস্তবায়ন শেষ হতে ১০ বছর লাগতে পারে।
তিনি জানান, মেট্রোরেলের কারণে কমলাপুর স্টেশন আড়ালে পড়ে গেলে এর সৌন্দর্য আর থাকবে না। তাই সরিয়ে নেওয়াই উত্তম বিকল্প।