প্রকাশ: বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশী ৯ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে মিয়ানমার। মিয়ারমারের এক্সিট পয়েন্ট মংডুতে টেকনাফ (২বিজিবি) ও বিজিপি এবং মিয়ানমার ইমিগ্রেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বুধবার বিকেলে তাদের ফেরত আনা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ বিজিবি বিওপি জেটি থেকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান, বিজিবি ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মংডুর উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। সেখানে পৌঁছানোর পর মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও মংডু এক্সিট পয়েন্টে ৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের জাও লিংক আনং নেতৃত্বে ৭সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে বেলা ১টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট জেটিতে ফিরে আসেন"।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা জেলেরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার পাড়া এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র মো. নুরুল আলম (৪৮),একই এলাকার সৈয়দ হোসেনের পুত্র মো. ইসমাইল হেসেন(১৯), আব্দুস সালামের পুত্র মো. ইলিয়াছ( ২১), মুহাম্মদ জাকারিয়ার পুত্র মো. ইউনুছ (১৬),গোল হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ কালা ওরফে কালাবদা, ছলিম উল্লাহর পুত্র সাইফুল ইসলাম, মৃত বশির আহমেদর পুত্র সলিম উল্লাহ(২৫), শাহ্ আলমের পুত্র নুর কামাল (১৩) মৃত রহিম উল্লাহর পুত্র মো. লালু মিয়া (২৩)।
ফেরত আসা ছলিম উল্লাহ বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আমাদের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় আমরা মিয়ানমারের জল সীমায় ঢুকে গেলে আমাদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বাহিনী। প্রায় ১৫ দিন পর আমাদেরকে মিয়ানমার হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল ফয়সাল হাসান খান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, জানা যায়,গত ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন একটি নৌকা নিয়ে ৯ জেলে মাছ শিকারে যায়। মাছ শিকারের সময় নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে নাফ নদী ও সাগরের মোহনায় নৌকাটি ভাসতে থাকে। পরে বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় ৯ জন জেলেসহ নৌকাটিকে অস্ত্রের মুখে মিয়ানমারের হাসসুরাতা সীমান্তচৌকিতে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন," ফেরত আনা ৯ বাংলাদেশীকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এর সমন্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে"।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর বলেন, ফেরত আনা ৯ বাংলাদেশী সুস্থ হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের করা হবে।