প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:২৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর অদূরে সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আট বছর আজ। ওই অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ১১৩ জন। আহত হন আরও তিন শতাধিক শ্রমিক। সে দিনের ভয়াল স্মৃতি মনে করে এখনো আঁতকে ওঠেন অনেকেই। সেই পোড়া গন্ধ এখনো ভুলতে পারেনি শ্রমিকরা।
ভয়াবহ সেই ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করলেও আট বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ। নির্ধারিত সময়ে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় মামলাটির বিচার থেমে আছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
জানা যায়, বর্তমানে মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দিলারা আলো চন্দনার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন কোন সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামী ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
তাজরীন ট্রাজেডির আট বছরে ভবনটির সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটি পোড়া চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও। ১১৩ জন শ্রমিকের প্রাণখেকো সেই ভবনটি দেখে ভয় পান অনেকে। জরাজীর্ণ ভবনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
তাজরীন ভবনের পাশের বাড়ির মালিক মীর আকবর বলেন, এই ভবনডা ঝুঁকিপূর্ণ। ৮০ ফুট উঁচা এই বিল্ডিং যদি ধইসা পড়ে তাইলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হইব। বিল্ডিংয়ের সামনেই রাস্তা দিয়া মানুষ চলাচল করে। ভাঙলে রাস্তার উপর আইসা পড়ব। বিল্ডিংয়ের চারদিকে কমপক্ষে আড়াইশ বাড়ি আছে। এহন এসব বাড়ির সবাই আমরা আতঙ্কে আছি।
এলাকাবাসী জানান, সেই একই স্থানে জীর্ণ দশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। পোড়ার আঁচড় ও কালো দাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তাজরীনের ভবনটি এখনো আতঙ্কের চারদেয়াল।
স্থানীয়দের দাবি, এই পোড়া চিহ্ন নিশ্চিহ্নের। আর তারা আর্তনাদের এই চিহ্ন দেখতে চান না।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামাণিক বলেন, ‘এলাকাবাসীকে এ বিষয়ে একটা অভিযোগ দিতে হবে। তখন আমরা পদেক্ষপ নিতে পারব। উপজেলা প্রশাসন বললে ইউএনও মহোদয় আমাকে মার্ক করে দিলে আমি পরিদর্শনে টিম পাঠাব।’