প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:২৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে, কয়েক সপ্তাহ বিলম্বের পর, নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল সার্ভিস এডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ)। সোমবার এক পত্রের মাধ্যমে জো বাইডেনকে বিষয়টি অবহিত করে জিএসএ প্রশাসক এমিলি মারফি। সিএনএন, রয়টার্স।
অনেক দেরিতে হলেও এ চিঠির মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু করলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হবু ‘নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে উল্লেখ করে জিএসএ প্রশাসক এমিলি মারফি চিঠিতে লিখেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থানগুলি সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের বিলম্বে হোয়াইট হাউসের কোনো চাপ ছিল না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন মারফি।
এরআগে হোয়াইট হাউস থেকে চিঠি আসার আগেই আপেক্ষা না করেই ক্ষমতা গ্রহণে সম্ভাব্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল বাইডেন টিম। সোমবার বাইডেন মন্ত্রীসভার নাম ঘোষণা করবেন বলে জানানো হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত বাইডেন টিম ফেডারেল কোন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম ছিল না। এখন থেকে সবার সাথে যোগাযোগ ও ক্ষমতা হস্তান্তেরের জন্য ৬.৩ মিলিয়ন ডলার ফেডারেল তহবিলও প্রস্তুত রয়েছে বাইডেন টিমের জন্য। বাইডেন টিমের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম করোনা মোকাবেলায় জন্য তথ্য ও টিকা বিতরণের পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাইডেন টিম এখন থেকে ফেডারেল সংস্থাগুলোর তথ্য ব্যবহার করতে পারবে। ফলে বাইডেন প্রশাসনের জন্য হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা বাছাই ও মন্ত্রীসভা গঠন অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া মারফি বলেন, ভোট কারচুপি বা অনিয়মের কোন এমন কোন তথ্য নাই যাতে করে কোন রাজ্যের ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে দেশের প্রতি দায়িত্বের অংশ হিসেবে তারা বাইডেনের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। দুই পক্ষের এই আলোচনা আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মতো কিছু না হলেও হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেনের ট্রানজিশন টিমের সদস্যরা কী কী বাধার মুখে পড়তে পারেন, সে সম্পর্কে তারা কিছুটা ধারণা পাচ্ছেন বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তা।
কয়েক মাস আগে পদত্যাগ করা হোয়াইট হাউজের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই বাইডেনের টিমের এমন একজনের কাছে ইমেইল করেছেন, যিনি নতুন প্রশাসনে তার মতো একই পদে দায়িত্ব পেতে পারেন। ওই ব্যক্তিকে নিজ থেকেই সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের সাবেক এই সহকর্মী।
ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান এক কর্মকর্তা বুধবার স্বীকার করেছেন, সরকার ও বাইডেনের ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তার দাবি, এর মধ্য দিয়ে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন না তারা।
অন্যদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হলেও ট্রাম্প কিন্তু নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করতে এখনো রাজি নন। নির্বাচনে কথিত কারচুপি নিয়ে করা মামলাগুলোও চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ওই টুইটেই ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের মামলাগুলো জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। আমরা ভালোভাবে লড়ে যাব। আর বিশ্বাস করি, আমরা টিকে থাকব।’