অর্থপাচারকারীদের ‘দেশ ও জাতির শত্রু’ আখ্যায়িত করে তাদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
প্রকাশ: রোববার, ২২ নভেম্বর, ২০২০, ২:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিদেশে অর্থপাচারকারীদের ‘দেশ ও জাতির শত্রু’ আখ্যায়িত করে তাদের নাম, ঠিকানা, অর্থের পরিমাণ ও পাচারের অর্থে বাড়ি তৈরির তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থ পাচার ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবসহ বিবাদীদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন।
গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা নয়, বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন সরকারি কর্মচারীরা। আমার ধারণা ছিল রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়; সেটিতে আমি অবাক হয়েছি। সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর সেখানে বেশি আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে। আমার কাছে ২৮টি কেস এসেছে এবং এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চারজন। এছাড়া কিছু আছেন আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ী। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি।’
যেসব জাতীয় দৈনিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো আমলে নিয়ে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
অর্থ পাচারকারী দুর্বৃত্তরা দেশ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে মন্তব্য করে উচ্চ আদালত বলেন, ‘ওই ব্যক্তিরা কীভাবে অর্থ পাচার করল, কীভাবে ওই টাকায় বাইরে বাড়ি তৈরি করল, তা অবশ্যই জানা দরকার। তা না হলে এই অপরাধ কমবে না।’
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, ‘দেশে থাকবে, দেশে পড়াশোনা করবে, অথচ দেশকে ঠকিয়ে দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। একজন মানুষের দেশপ্রেম থাকলে এটি কখনোই হতে পারে না।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।