প্রকাশ: শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৫১ পিএম আপডেট: ২২.১১.২০২০ ১২:৪২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সুমহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুর চার নিউক্লিয়াসের অন্যতম প্রধান সদস্য শেখ ফজলুল হক মনির হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে। ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী কমিটির পাশাপাশি জাতীয় কমিটিও দেয়া হয়েছে। সেখানে বিতর্কিত ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী, ছাত্রদল নেতা, এমনকি ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া অনেক অনুপ্রবেশকারী ঠাঁই পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং কমিটি থেকে বাদ দিয়ে পদগুলো শূণ্য করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনের বিশস্ত সূত্র ভোরের পাতাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইতিমধ্যেই বিতর্কিতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করতে বিভিন্ন সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ তালিকা প্রস্তুত করার কথাও বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
ইতিমধ্যেই, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একজন শীর্ষ নেতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাকে নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ক্যাসিনো অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া সাবেক কমিটির দপ্তর সম্পাদক আনিসের পোষ্য লোকজনকে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে জায়গা করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া, জাতীয় কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন অনেক অনুপ্রবেশকারী। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এমনকি জাতীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া অনেকেই নির্বাহী কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দিচ্ছেন। ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা লোককেও যুবলীগে ঠাঁই দেয়া হয়েছে।
যুবলীগ কর্মী নূর হোসেনের রক্তের ওপর অর্জিত গণতন্ত্র মুক্তি পাওয়া এই সংগঠনের প্রথম সভাপতি হিসাবে শেখ মনি ছিলেন একজন প্রখর মেধাবী মানুষ। তার সন্তান বর্তমান কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশকে সুকৌশলে ভুল ঝুঝিয়ে এমন বিতর্কিতদের ঠাঁই দেয়া হয়েছে বলেও কেউ কেউ দাবি করছেন। যুবলীগের সভাপতি হিসাবে পরশ মানবিক সংগঠন হিসাবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে এবারের যুবলীগের কমিটিতে ঠাঁই দেয়াকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসাবেও দেখছেন সবাই। কিন্তু ক্যাসিনো অভিযানের সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও কিভাবে আনিস তার পোষ্যরা কিভাবে ঠাঁই পেলো তা নিয়েই যত প্রশ্ন উঠছে।