রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
দোষ স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতির
প্রকাশ: শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরেরপাতা ডেস্কসিরিয়ায় গিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসে যোগ দেওয়া দুই ভাইকে আর্থিক সহায়তা করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রবাসী এক বাংলাদেশি দম্পতি শহিদুল গাফ্ফার বাবু (৪০) ও নাবিলা খান (৩৫)। গত কয়েক বছর ধরে তারা পেনসিলভেইনিয়ার আপারডারবিতে বসবাস করে আসছিলেন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে তাদের স্থানীয় সময় গত বুধবার ফিলাডেলফিয়ার ফেডারেল কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক যশুয়া ডি উলসনের সামনে তারা দোষ স্বীকার করে নেন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ অপরাধে তাদের পাঁচ বছরের জেল এবং আড়াই লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে। জেল খেটে মুক্তি পাওয়ার পর আরো তিন বছর তাদের বিশেষ নজরদারিতে থাকতে হবে। এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেওয়া নাবিলার দুই ভাই জেকে এবং আইকে কে (পুরো নাম প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ তাদের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করেছে) গত কয়েক বছরে তারা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ পাঠিছেন। তাদের মধ্যে আইকে গতবছর সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন। স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা জানান, ম্যারিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোর থেকে কয়েক বছর আগে ফিলাডেলফিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন বাবু ও নাবিলা।  সেখানে ‘দেশি ভিলেজ’, ‘নিউ দেশি ভিলেজ’ নামে দুটো রোস্তারাঁ আছে তাদের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যাটারিংয়ের কাজও করতেন তারা। আপারডারবি সিটির কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক জানান, বগুড়ার ছেলে বাবু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেলেও তার স্ত্রী নাবিলা এখনো গ্রিণকার্ডধারী। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী হিসেবে তারা কমিউনিটিতে পরিচিত। তবে কট্টরপন্থি আচরণের কারণে তাদের নিয়ে আগে থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সন্দেহ ছিল।
মামলার নথিতে বলা হয়, নাবিলার বড় ভাই জেকে বাংলাদেশ থেকে সিরিয়ায় যান ২০১৫ সালে। সিরিয়ায় যাওয়ার খরচ যোগাতে নাবিলা তার কিছু সোনার গয়না বিক্রি করে দিতে বলেছিলেন তার বোনকে, যিনি বাংলাদেশেই থাকেন। ভাইকে বিদায় জানাতে ওই বছর ফেব্রুয়ারি নাবিলা বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন। আর বাবু ফিলাডেলফিয়া থেকে তার শাশুড়িকে লিখেছিলেন, তার ছেলে ‘মহান দায়িত্ব’ পালনে সিরিয়া যাচ্ছে, সে জন্যে তার ‘গর্ব করা উচিত’। নাবিলার আরেক ভাই আইকে ২০১৩ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি বোন-দুলাভাইয়ের সঙ্গেই ছিলেন। এরপর আইকে যখন বাংলাদেশে ফিরে যান, নাবিলা তখনও দেশেই ছিলেন। বাবু সে সময় বেশ কিছু টাকা পাঠান দেশে, যা আইকের সিরিয়া যাওয়ার জন্য ব্যয় করা হয়।  ইউএস অ্যাটর্নি উইলিয়াম এম ম্যাকসোয়াইন বলেন, ‘নাবিলা খানের দুই ভাইকে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উৎসাহ দিয়েছেন এই দম্পতি।’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]