প্রকাশ: শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪২ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান যিনি, একাদশের তালিকায় অধিনায়কের পরই তো তার নাম লেখা হওয়ার কথা। কিন্তু আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান দাভিদ মালান নিশ্চিত নন, ইংল্যান্ডের পরের টি-টোয়েন্টিতে তিনি সেরা একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা।আগামী শুক্রবার থেকে শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যানের জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তা এমনিতে প্রায় অবাস্তব মনে হলেও ইংল্যান্ডের এখনকার বাস্তবতায় খুবই সত্যি!দলের সবশেষ ৭ টি-টোয়েন্টিতেই মালান ছিলেন। তবে জেসন রয় ও বেন স্টোকস না থাকায় তার নিয়মিত খেলার সুযোগ হয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে রয় ও স্টোকস আছেন। মালান ব্যাট করেন টপ অর্ডারে, সেখানে রয়ের পাশাপাশি জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলারও আছেন।সব মিলিয়ে জায়গা নিয়ে মালানের শঙ্কা অমূলক নয়। কেপ টাউন থেকে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান তুলে ধরলেন সেই বাস্তবতাই।‘আমার কোনো ধারণা নেই (পরের টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ মিলবে কিনা)। খেলব বলতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু সত্যিই কিছু জানি না। এটির উত্তর দিতে পারবেন নির্বাচকরা, কোচরা এবং ওয়েন মর্গ্যান (অধিনায়ক)। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তাদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।’
‘দলে জায়গা নিয়ে প্রতিযোগিতা বরাবরই তীব্র। ওয়েন অধিনায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, যে ক্রিকেটারদের সে বেছে নিয়েছে এবং দলের আশেপাশে যারা ছিল, তারা সবাই দুর্দান্ত ক্রিকেটার, বিশেষ করে দলে যারা প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে।’ তবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান একাদশে জায়গা না পেলে সেটি হয়তো অনন্য এক নজির হবে। তবে মালানের নিজের কাছেই র্যাঙ্কিং এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়।
‘এটা এমন কিছু (র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান), যেটি সম্ভবত আমি অবসরের পরই বেশি উপভোগ করব। এখন আমি এটির দিকে তাকাচ্ছি না। র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর মানেই রান করার নিশ্চয়তা নয়, দলে জায়গার নিশ্চয়তা নয়। হয়তো অবসর নেওয়ার দিনটিতে পেছন ফিরে তাকাব এবং তখন র্যাঙ্কিং শীর্ষে ওঠার ব্যাপারটি মনে দোলা দেবে।”“ র্যাঙ্কিং যত ভালো, ততই সেদিকে নজর বেশি থাকে এবং নিজের ওপর চাপ বেশি পড়ে। আমি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে আছি নাকি বিশে, নাকি দুইশ নম্বরে, চেষ্টা করছি যেন সেসবের প্রভাব আমার ওপর না পড়ে।’
২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ বলে ৭৮ রান করেছিলেন মালান। পরের চার ম্যাচে করেছেন তিনটি ঝড়ো ফিফটি। এমন ধারাবাহিকতা তার ছিলই। তার পরও তার অভিষেক থেকে এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩১ টি-টোয়েন্টির কেবল ১৬টি খেলতে পেরেছেন মালান। এই স্বল্প সুযোগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে উঠে গেছেন তিনি শীর্ষে।তবে দলের শক্তির গভীরতা তিনি জানেন বলেই র্যাঙ্কিং নিয়ে না ভেবে কাজে লাগাতে চান প্রতিটি সুযোগ। ‘আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে হলে সবাইকেই পারফর্ম করে যেতে হবে। কেউ সাজিয়ে দেবে না। আমি ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে প্রথম সুযোগ পেয়েছি, তার পর সুযোগ পেয়েছি খুব সীমিত, মাত্র ১৬ ম্যাচ খেলেছি। পেছন ফিরে তাকালে, অবশ্যই পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি। কিন্তু সেটা বোধগম্যই, এই ইংল্যান্ড দলের মান এরকমই।’
‘প্রতিটি সুযোগই মূল্যবান এবং স্কোয়াডে থাকতে হলে প্রতিবারই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ১৫ বা ১৬ জনের স্কোয়াডে থাকা, কারণ এতে সামান্য হলেও সুযোগ থাকে কেউ চোটাঘাত পেলে বা অন্য কোনোভাবে বদলি হিসেবে ম্যাচ খেলার।’