বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ডস ২০২০-২১ বর্ষের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল এক জমকালো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে আগামী দুই বছর এর জন্য সুপারব্র্যান্ডসের বিশেষ প্রকাশনাও উন্মোচন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সর্বত্র প্রযোজ্য ব্র্যান্ডের বিচারক সংস্থা। ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশে ব্র্যান্ডিংয়ে কাজ করছে এটি। এতে সুপারব্র্যান্ডস দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের জন্য সর্ববৃহৎ সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনাটিতে প্রতিটি ব্র্যান্ডের সুপারব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে ওঠার পেছনের গল্প প্রকাশিত হয়, যা বিজ্ঞাপন, বিপণন, ব্র্যান্ড পরচিালনা, মিডিয়াতে সিনিয়র ব্যাবস্থাপকসহ শিক্ষাবিদদের জন্য একটি সম্মিলিত প্রকাশনা।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম পরিচালক ও ক্রিয়েটিভ এডিটর বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২০-২১ প্রকাশনার জন্য ‘ভিজ্যুয়াল ডায়ালগ’ শিরোনামে এই প্রচ্ছদটি ডিজাইন করেছেন। প্রচ্ছদটির পেছনে অন্তর্নিহিত দর্শন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, শৈল্পিকতার বহিঃপ্রকাশ একটি ধারণা, যা আমাদের এবং এই মহাবিশ্বের কাছে অজানা। চিত্রকর্ম, রঙ এবং আকারের সম্ভাবনাগুলো চিত্রিত করে এটি। যদিও তারা তুলনামূলকভাবে অজানা।
সালমান ফজলুর রহমান বলনে, সুপারব্র্যান্ড বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাতে চাই। এই স্বীকৃতি সমস্ত কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রতিচ্ছবি। সুপারব্র্যান্ডপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি তাদের কর্মীদের প্রতি স্বীকৃতি।
সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, একটি গুণমান সম্পন্ন ব্র্যান্ড তার পণ্য ও পরিষেবা এবং স্পর্শনীয় ও অস্পর্শনীয় উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে বিশ্বাস গড়ে তুলে, যে বিশ্বাস অবিচ্ছিন্ন সময়কালে নির্মিত হয়ে একটি সুপারব্র্যান্ড তৈরি করে।
সুপারব্র্যান্ডস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফারজানা চৌধুরী বলেন, সুপারব্র্যান্ডস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই একটি গর্বের মুহূর্ত। সব কর্মী ও অংশীদার গ্রাহকদের নতুন পণ্য ও পরিষেবা উদ্ভাবন ও উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ঝুঁকি সুরক্ষায় আমাদের ওপর আস্থা রাখায় আমাদের গ্রাহকদের প্রতিও আমরা কৃতজ্ঞ।
সুপারব্র্যান্ডস একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। যা বিভিন্ন স্বতন্ত্র ব্যাকগ্রাউন্ড এবং স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত, যা আবার ‘ব্র্যান্ড কাউন্সিল’ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ২০২০-২০২১ সালের সুপারব্র্যান্ডগুলো বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ব্র্যান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে।