প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মহামারী করোনার সময়ও একক নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি একটি মানুষও যেন না খেয়ে মারা যায়, সে কথা রেখেছেন। ঠিক তখনই তার দলের কিছু সংসদ সদস্যের পুত্রের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমনকি তারা এতটাই বেপোরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পরেছেন, ধরাকে সরা জ্ঞান করতেও ভুল করছেন না। টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, নিয়োগ বাণিজ্য, হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে গোপন সংশ্লিষ্টতা এমনকি নারী কেলেংকারিতেও জড়িত থাকায় এমপি পিতার সুনাম নষ্ট করছেন তারা। এসব এমপিপুত্রদের এবার কঠোর নজরদারিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে তাদের অর্থ আয়ের উৎস এবং কার সঙ্গে কখন যোগাযোগ করছেন সেটিও নজরদারিতে রয়েছে। বিতর্কিত এমপিপুত্রদের অপকর্মের খতিয়ান নিয়ে দৈনিক ভোরের পাতার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।
সর্বশেষ পুরান ঢাকার প্রভাবশালী সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে বিতর্কিত এমপি পুত্রদের ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে হাজী সেলিমের বেয়াই নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে শাবাব চৌধুরীকে নজরদারিতে আনা হয়েছে। বিশেষ করে তার বেপোরোয়া জীবন-যাপন থেকে শুরু করে পিতার নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকার টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গাড়ি চাপা দিয়ে মানুষ হত্যার পরও অহংকার করে এই শাবাব চৌধুরী হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, কেউ তার কিছুই করতে পারবে না।
ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানীর পুত্র ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়োগ বাণিজ্য, পুলিশে নিয়োগের নামে অর্থ আত্বসাত , অনিয়ম ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে নিজ এলাকাতেই। এমনকি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হয়েও তিনি এখনো উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা কিছুই করতে পারবে না বলেও হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, যতদিন না পর্যন্ত পৌরসভার মেয়র হবো, এর আগে কারো কোনো ক্ষমতা নেই আমাকে ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে সরাতে পারে।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথের কারণে শুধু যে দলের এবং তার পিতার দুর্নাম হচ্ছে তা নয়। এই সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ ছিল। এছাড়া মাদক ব্যবসা, জেলার সকল টেন্ডারবাজির নেপথ্যের খলনায়ক তিনি। তাকেও কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে বলে জানিয়ে সরকারের এবং গোয়েন্দা সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র।
চলবে....