ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পাকিস্তানে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তাদের মতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়া সত্ত্বেও এই সহায়তা দেওয়া মানেই সন্ত্রাসকে সমর্থন করা। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে কিছু সন্ত্রাসী সংগঠন প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা সফলও হচ্ছে। তাদের দমনে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সন্দেহভাজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের জাতিসংঘের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত জামায়াত-উদ-দাওয়ার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদ তার বাস্তব উদাহরণ। খবর জি-৫ নিউজের। এমন সময় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের এ সমালোচনা এলো যখন সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ ২৮ মাস ধরে পাকিস্তানের ‘গ্রে’ বা ধূসর তালিকায় রেখেছে।গত মাসে এফএটিএফ-এর বৈঠক শেষে তারা বলেছিল, পাকিস্তানকে দ্রুত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা শেষ করতে হবে। এফএটিএফ পাকিস্তানকে সব সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল।ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি না থাকায় নিন্দা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্যক্রম পরিচালনারত সন্ত্রাসবাদী দলগুলোকে পাকিস্তান যথাযথভাবে মোকাবিলা করেছে না বা এটি ক্রমবর্ধমান ইসলামিক উগ্রবাদকে মোকাবিলা করছে না।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানের এই ব্যর্থতা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটিতে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। গত দশ বছরে পাকিস্তানকে ৬০ কোটি ইউরো সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের ৬ অক্টোবর আরও ১৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।