প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪৯ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে তাই উচ্ছ্বসিত অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ড্রাফটে নিজেদের প্রথম ডাকে সাকিবকে দলে নিলেও জেমকন খুলনা অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। ৭ বছর আগে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের কোনো একজনের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে একই দলে সবশেষ কবে খেলেছেন, অনেক ভেবেও মনে করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। জেমকনের বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি খুলনা টাইটানসকে ৩ মৌসুম নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনপ্রেরণাদায়ী ও কার্যকর অধিনায়ক হিসেবে তার আছে পরিচিতি। খুলনার ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে তাই বিস্ময়ের খুব বেশি কিছু নেই।
তবে মাহমুদউল্লাহ নিজে অবাক তিনি ও সাকিব একই দলে থাকায়। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারের এক দলের খেলার সুযোগ থাকে সামান্যই। গত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে অবশ্য ঢাকা প্লাটুন দলে একসঙ্গে খেলেছিলেন মাশরাফি ও তামিম। সেটি নিয়েও ড্রাফটে ও আগে-পরে নাটক হয়েছে বেশ।এবার মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের এক দলে থাকাও ড্রাফটের আগে ছিল প্রায় অভাবনীয়। এমনিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ততা এবং চোট-বিশ্রাম মিলিয়ে সাকিব ঘরোয়া ক্রিকেটে বিপিএলের বাইরে অন্য টুর্নামেন্টগুলোয় খেলেন খুব কমই। এবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি দিয়েই তিনি ফিরছেন। খুলনা প্রথম সুযোগেই তাকে নিয়েছে দলে। পরে শীর্ষ গ্রেডে থাকা মাহমুদউল্লাহকে অন্য দল না ডাকায় খুলনা পেয়ে যায় সুযোগ। দ্বিতীয় ডাকে তাকে নেয় দলে।গত মঙ্গলবার করোনা মুক্ত হওয়ার পর নেতৃত্বের সুখবরও পান মাহমুদউল্লাহ। সাকিবকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে রোমাঞ্চের কথা গণমাধ্যমকে তিনি এভাবেই জানালেন।‘
আমরা এক দলে খেলব, আমার জন্যও একটু অবাক হওয়ার মতো ছিল। জাতীয় দলে অনেক বছর ধরেই একসঙ্গে খেলি, তবে সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটে তো সাধারণত এরকম হয় না। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। ওর মতো একজন ক্রিকেটার থাকা যে কোনো দলের জন্যই বড় ব্যাপার। সাকিব সবসময়ই দারুণ পারফরমার, এখানেও পারফর্ম করবে সন্দেহ নেই। আশা করি আমাদের দলের তরুণরাও ওকে দেখে শিখতে পারবে।’ আগামী মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে জেমকন খুলনা।