শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশিপের কারণে আমরা করোনার প্রান্তিক প্রভাব কাটিয়ে উঠেছি: ফাইয়াজুল হক রাজু
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সারা বিশ্বে এমন দুর্গতির মধ্যেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের পদ্মা সেতুর কাজ। ৪২টি পিলারের ওপর দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দ্রুত সময়ে এই সেতু নির্মাণ শেষ হোক-এটাই প্রত্যাশা। করোনা মহামারির সকল ধাক্কা কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৬২ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (১৮ নভেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ফাইয়াজুল হক রাজু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, হিউম্যান রাইটস কমিশন যুক্তরাজ্যের গভর্নর ও প্রেসিডেন্ট আব্দুল আহাদ চৌধুরী। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, একথা সত্যি যে এই বৈশ্বিক বিপর্যয়ের মধ্যে বিশেষ করে বাংলাদেশ একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পরেছিলাম। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় চ্যালেঞ্জে এর মধ্যে ছিল। আমরা কেউ কিন্তু এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আসলেই পুরো পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রের কেউই এটার জন্য প্রস্তুত ছিলোনা। কিন্তু ভাগ্যক্রমে এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিডারশীপের কারণে আমরা এটা সহজে সামাল দিতে পেরেছি। বিশেষ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনাকালে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা ছিল অত্যন্তই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। আজকে আমরা দেখতে পারছি, বিশ্বের অনেক গুলো দেশ এই অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে চরমভাবে সমস্যা মোকাবেলা করছে সেখানে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে আমরা যথেষ্ট সামলে উঠেছি। অর্থনৈতিকের দুটি দিক। সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাষ্টিক অর্থনীতি। আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিক অনেকটাই শক্তিশালী অবস্থানে আছে গত ১২ বছর ধরে, সেখান থেকে এটা আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তিকে ভালো ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসী কিছু সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে বাজে প্রভাব থেকে মুক্ত রেখেছে বাংলাদেশকে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তে ঝুঁকি নিয়ে কারখানা খোলায় ইতিবাচক ফলও এটা। সকল মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছিলো যেন দেশ পূর্ণ লকডাউনে যায়। সরকারের ইচ্ছায় লকডাউনে শিথিলতা ছিল। গার্মেন্টস, কলকারখানা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা বলছিলাম আমরা। দেশে পরিবহন চালু না রাখার কথাও বলা হচ্ছিলো। ভীতিকর পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যখন লকডাউনে তখন আমাদের গার্মেন্টস, কলকারখানা চলেছে, পরিবহনও চালু করা হয়েছে। যার সুফল এখন ভালোভাবেই আমরা পাচ্ছি। আমাদের রেমিটেন্স ফ্লো অনেক ভালো এবং এটা এখন দেখা যাচ্ছে যে, সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে আমাদের রেমিটেন্সের পরিমান। আমাদের যারা প্রবাসীরা আছে তারা এই দেশের জন্য সব সময় পরিশ্রম করে দেশে যে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে তাতে আমরা এই করোনাকালীন সময়ে অনেক সহয়তা পেয়েছি।