প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ২:৪৫ এএম আপডেট: ১৯.১১.২০২০ ২:৪৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আধ পচা, বা তিনের দুইভাগ পচা পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। শত শত বস্তা পেঁয়াজ পচে গন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্বের নানা দেশ থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ডলারে কেনা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় এমন দুরবস্থা। এমনকি টাকা দিয়ে গাড়ি ডেকে এনে ফেলেও দেয়া হচ্ছে পচা পেঁয়াজ। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খাতুনগঞ্জের প্রতিটি আড়তের সামনে পড়ে আছে শত শত বস্তা পচা পেঁয়াজ। রপ্তানিকারক দেশে জাহাজ ভর্তি করার সময় কন্টেইনার সংক্রান্ত অসচেতনতার কারণে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ।
জারিফ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আমদানিকারক মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, পচে যাচ্ছে কারণ মাল ঠিকভাবে ডেলিভারি হচ্ছে না। তারপর শীপের মধ্যে তাপমাত্রার সমস্যা হচ্ছে।
মামুনুর রশিদ বলেন, ২০ শতাংশ টাকাও আমাদের রিকভারি হবে না। কিছু কিছু পেঁয়াজ একদম ফেলে দিতে হচ্ছে একটাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। একেতো গ্যাঁজ ও পানি ঝরে পচে যাচ্ছে। তার ওপর ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। খাতুনগঞ্জে ৫০ কেজির ওজনের বস্তার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, কোটি কোটি টাকা লোকসান, এখন কিন্তু সরকারের মাথা ব্যথা নেই।
ভারত রপ্তানি বন্ধের পর পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ। নানা দেশের পেঁয়াজে ধরছে পচন।