প্রকাশ: বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইসপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)।
প্রাথমিকভাবে ৩০০ ব্যবসায়ীর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুসরণ করে বানানো ৪ হাজার ২০০টি কাপড়ের মাস্ক বিতরণ করা হয়।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকালে ঢাকার নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারে এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এসব মাস্ক সরবরাহ করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ এস এম ফেরদৌস আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে এসব মাস্ক সরবরাহ করেন।
গেইন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জোনাল নির্বাহী পরিচালক (জোন-১) এর নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, গেইন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, একই সংস্থার পোর্টফোলিও লিড (লার্জ স্কেইল ফুড ফর্টিফিকেশান অ্যান্ড ভ্যালু চেইন) ডা. আশেক মাহফুজ, নিউমার্কেটের বনলতা মার্কেট বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন-এর যুগ্ম সম্পাদক মো. শফি উল্যাহ, বেসরকারি সংস্থা ‘উন্নয়ন সংঘ’-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর শাখওয়াত হোসেনসহ স্থানীয় নেতারা।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন গেইন বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট জি এম রেজা সুমন।
গত ২৪ আগস্ট নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ এবং সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ‘ইটসেইফ: ইভিডেন্স অ্যান্ড অ্যাকশন টুওয়ার্ড সেইফ, নিউট্রিশন ফুড: কোভিড-১৯ রেসপন্স’ নামে নতুন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গেইন-এর সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ‘উন্নয়ন সংঘ’ ও ‘আরকেড’ ফাউন্ডেশন নামে দুটি বেসরকারি সংস্থা। প্রাথমিকভাবে এক বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ইউএসএইড, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা (জিএসি) ও নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিতে সরকার মানুষকে কাঁচাবাজার, অফিস-আদালত, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থান ও ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও, এখনও নগরীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে তা তেমন একটা মানা হচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। তাই এক্ষেত্রে প্রত্যেককে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও বার বার হাত ধোয়ার বিকল্প নেই।