প্রকাশ: বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাকিব ও নিপা কথিত প্রেমিক-প্রেমিকা। সেই পরিচয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান তারা। তাদের সঙ্গে থাকেন রাশেদও। তিনজনই পূর্ব পরিচিত। অটোরিকশায় ঘুরে বেড়ানোর সময় চালকের পাশের আসনে বসেন রাশেদ। যেন পেছনে বসা দুজনকে প্রেমিক-প্রেমিকা মনে করেন চালক।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একপর্যায়ে বেছে নেন ছিনতাইয়ের নিরাপদ স্থান। এরপর গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে শুরু হয় প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন। একপর্যায়ে টার্গেট করা পথচারীকে ছুরিকাঘাত করে ছিনিয়ে নেন মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র।
বুধবার ছিনতাইকারী চক্রের ১৩ সদস্যকে আটকের পর এসব তথ্য জানান সিএমপির এডিসি (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ। এর আগে, নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এডিসি পলাশ কান্তি নাথ জানান, নিপা পেশায় গৃহকর্মী হলেও মূলত তার কাজ ছিনতাই। সন্ধ্যা হলে সহযোগীদের নিয়ে ছিনতাইয়ে নামতেন তিনি। সম্প্রতি ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা পর্যালোচনা করতে গিয়ে প্রথমে স্টেশন রোডের চোরাই মোবাইল ক্রেতা আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে নিপা ও রাকিবকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, রাকিব, নিপা, আলাউদ্দিন ছাড়াও আরো দুটি ছিনতাইকারী গ্রুপের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. রুবেল, ফারজানা বেগম, মো. রাজু ওরফে সুমন, মো. আলামিন ও আব্দুল নাইম। অপর গ্রুপের মো. শফিক, মো. দেলোয়ার, মো. উজ্জ্বল, মো. ইসহাক ও মো. অপু ওরফে হৃদয়। তাদের কাছ থেকে ১৪টি চোরাই মোবাইল ফোন, তিনটি কাটার ব্লেড ও ছয়টি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।