হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় গৃহবধূ খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রাখে খুনি স্বামী।
মঙ্গলবার ঘাতক স্বামী ছিদ্দিক আলী হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, প্রতিবেশী মিস্টা মিয়া, সালাম মিয়া গংদের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল ছিদ্দিক আলীর। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্ত্রী মনোয়ারাকে হত্যার পরিকল্পনা করে শনিবার রাতে ঘর থেকে স্ত্রীকে তাদের পুরনো বাড়ি যেতে বলে।
এর পর পরিকল্পনা মতে সঙ্গে থাকা ধারালো দা দিয়ে মনোয়ারার ঘাড়ে কোপ দেয়। পরে গলায় দা চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
মাধবপুর থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রোববার সকালে একটি ধানক্ষেত থেকে মনোয়ারার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামী ছিদ্দিক আলীকে আটক করে পুলিশ। এ সময় একটি দা উদ্ধার করা হয়। কৌশলে হত্যা সম্পর্কে ওসি জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছিদ্দিক আলীর চোখে পানি এসে যায়।
এ ব্যাপারে নিহত মনোয়ারার ভাই খালেক মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে ছিদ্দিককে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করলে ঘাতক ছিদ্দিক আলী স্ত্রী মনোয়ারা হত্যার দায় স্বীকার করে দীর্ঘ সময় জবানবন্দি দেন।