প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের যুবক আব্দুল ওহাব অপহরণ মামলায় নতুন মোড় এসেছে। মামালার তদন্তে কিডনি পাচার চক্রের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার দুপুরে শহরের পলাশপাড়ার পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের এসপি এআরএম আলিফ। তিনি জানান, এ ঘটনায় রায়হান আলী নামে পাচার চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআইয়ের এসপি এআরএম আলিফ জানান, চাকরির কথা বলে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সোহালী গ্রামের আব্দুল ওহাবকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন রাকিবুল হাসান। এরপর থেকে নিখোঁজ হন ওহাব। রাকিবুল একই উপজেলার পশ্চিম বানিহালি গ্রামের নূর আলমের ছেলে।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওহাবের বাবা মজিদ সরকার। একই বছরের ২৩ নভেম্বর ঢাকার গাজীপুরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রাকিবুল। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওহাবকে তিনি কিডনি পাচার চক্রের হাতে তুলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
মামলাটির তদন্তভার পিবিআই নেয়ার পর ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কিডনি পাচার চক্রের সদস্য রায়হানের সম্পৃক্ততা পায়। চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে রায়হানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসপি এআরএম আলিফ বলেন, গ্রেফতার রায়হান রোববার গাইবান্ধার অতিরিক্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নজরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে রায়হান জানান, রাকিবুলের কাছ থেকে নিয়ে সান এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আব্দুল ওহাবকে ভারতে পাঠিয়ে দেন তিনি। সেখানে দীর্ঘদিন আটকে রাখার পর একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে ওহাবের কিডনি বের করে নেয় চক্রটি।
এ চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান পিবিআইয়ের এ কর্মকর্তা।