প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ৮:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী এপ্রিল থেকে প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি।
প্রযুক্তিটি চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটে চালু রাখা সম্ভব হবে না। আর কোনো অপারেটরের সিমই চলবে না। ২০১২ সালে নেয়া এ উদ্যোগ প্রায় আট বছর পর বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিটিআরসি মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার বিষয়ে আগে থেকেই ক্রেতাদের সতর্ক করে আসছিল। মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে আইএমইআইর মাধ্যমে সেটটির বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। বিক্রেতার কাছ থেকে হ্যান্ডসেট কেনার রশিদ নিতে হবে।
আইএমইআই নম্বর কী?
আইএমইআই বা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি একটি ১৫ ডিজিটের নম্বর, যা কোনো মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করার সময় এর মধ্যে প্রোগ্রাম করা থাকে।
এ নম্বরটি মূলত মোবাইল হ্যান্ডসেটটির পরিচয় বহন করে। এই নম্বরের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয় যে ফোনটি কোন এলাকায় ব্যবহার করা যাবে এবং কোন ফ্যাক্টরিতে এটি তৈরি হয়েছে।
সাধারণত হ্যান্ডসেট হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে এই আইএমইআই নম্বরের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটটির অবস্থান খুঁজে বের করা সম্ভব হয়।
এ ছাড়া নতুন ফোন কেনার সময় ওই ফোনের আইএমইআই নম্বরের মাধ্যমে জানা যেতে পারে যে, ফোনটি এর আগে কখনও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।
আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক লেনদেনের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
যেভাবে যাচাই করবেন আসল হ্যান্ডসেট
মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হলো মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে 16002 নম্বরে পাঠাতে হবে।
মোবাইল ফোনের প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#06# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যাবে।
আইএমইআই নম্বর প্রত্যেক ফোনের জন্য আলাদা। সুনির্দিষ্ট এই নম্বর দিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কে কোনো একটি সুনির্দিষ্ট মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব।