প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ৭:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহি সান্তাহার জংশন রেলওয়ে ষ্টেশন। উত্তরবঙ্গের মধ্যে ঐতিহ্যবাহি রেলওয়ে ষ্টেশন হলেও সান্তাহার ষ্টেশনে এখনো অবকাঠামো উন্নয়নসহ আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। এই ষ্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ব্রড গেইজ ও মিটার গেইজ মিলে প্রায় শতাধিক ট্রেন চলাচল করে। বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার কয়েকটি উপজেলার যাত্রীরা এই সান্তাহার জংশন রেলওয়ে ষ্টেশন দিয়েই চলাচল করে।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা নওগাঁ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য এই ষ্টেশনটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ১জন মাষ্টার দিয়ে চলছে সান্তাহার, বন্ধ ষ্টেশন তিলকপুর ও জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনটি। এতে করে সাধারন মানুষরা এই ষ্টেশনে কোন কাজে গিয়ে দেখা পাচ্ছে না ষ্টেশন মাষ্টারের। যার কারণে ষ্টেশনগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ তারিখে সান্তাহার রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিব মূলত জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনের মাষ্টারের প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বন্ধ থাকা তিলকপুর রেলওয়ে ষ্টেশনেরও মাষ্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু সান্তাহার জংশন রেলওয়ের মতো ব্যস্ততম একটি ষ্টেশন অস্থায়ী মাষ্টার দিয়ে চালানোর কারণে অনেক কর্মকান্ড সঠিক ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সান্তাহার রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জনবল সংকটের কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কে সম্মান জানিয়ে আমাকে যে ৩টি ষ্টেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করে আসছি। যদিও বা আমার জন্য এই ৩টি ষ্টেশন চালানো অনেকটাই কষ্টকর একটি বিষয়। তবুও সরকারের আদেশকে সম্মান জানিয়ে তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। তবে হয়তো বা এই সংকট আর বেশি দিন থাকবে না। রেল কর্তৃপক্ষ দ্রæতই জনবল সংকট দূর করে প্রতিটি ষ্টেশনে স্থায়ী ভাবে মাষ্টার নিয়োগ দিবেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন জানান, মূলত জনবল সংকটের কারণেই রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রæত প্রতিটি রেল ষ্টেশনে স্থায়ী ভাবে মাষ্টারসহ অন্যান্য পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে দেশের প্রতিটি রেলওয়ে ষ্টেশনের কার্যক্রম আরো ত্বরানিত হবে বলে আমি আশা করছি।