প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীয়তপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়ান্নাহ ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর থেকে ওই সিএমএইচ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
তিনি স্ত্রী মিজ মাজেদা শওকত আলী, দুই ছেলে ফিরোজ শওকত আলী, খালেদ শওকত আলী ও এক মেয়ে মেরিনা শওকতসহ নাতি নাতনী ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লোনসিং গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার মুন্সী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি নড়িয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নড়িয়া গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করতেন।
তিনি কিডনি, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া ও উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে তার ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। সেই কারণেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাকেও ৩৭ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭৫ এর পরে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে এভাবে তাকে পদচ্যুত করার পরও তিনি বঙ্গবন্ধুর যেই লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি তা বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পরবর্তীতে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হয়েছেন। মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সহায়তা করেছেন।’
কর্ণেল (অব:) শওকত আলী’র জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবনঃ কর্ণেল (অব.) শওকত আলী এমপি ১৯৩৭ সালের ২৭ জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাধীন লোনসিং বাহের দীঘিরপার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুন্সী মোবারক আলী এবং মাতার নাম মালেকা বেগম।
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদপ্রাপ্ত হন এবং ১৯৭৮ সালে সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্যপদ লাভ করেন।