প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩৩ টি আয়রন সেতু ভয়াবহ ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। ওইসব সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মহিলা শিশু বৃদ্ধ মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছেন। এতে প্রতিদিন সেতু পাড়াপাড়ে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। ২২টি সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করাও বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে জমির মৃধা বাজার আয়রন সেতুটি খালে ভেঙে পড়ে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ন ৩৩ টি ব্রিজের মধ্যে ২২টি সেতু অধিক ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মূহুর্তে ওইসব সেতু ভেঙে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ বছর সংস্কার না হওয়ায় সেতু গুলোর অবস্থা বর্তমানে খুবই বিপদ জনক।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের নিজহাওলা খায়েরহাট আয়রন সেতু, আলীপুরার কালামেয়ারহাট কোটখালী আয়রন সেতু,আলীপুরা স্লুইজ বাজার গিলাবাড়িয়া জোড়া সেতু, রনগোপালদীর যৌতা বাজার আলী জিসি ভায়া আশু মোল্লার হাট আয়রন সেতু, আলীপুরা জিসি সিদ্দিক মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন আয়রন সেতু-,আলীপুরা বাজার আরএসডি রনগোপালদী ইউপিসি আয়রন সেতু,আনোয়ার মেম্বার গেদুরহাট সেতু,নিজাবাদ আশ্রয়ন রনুয়া হাট সেতু,যৌতা চান্দার বাধ এসএস সড়কের আয়রন সেতু,সানকিপুর বরতলা বাজার সেতু- আবুল কালাম বাড়ির সংলগ্নে খান বাজার সেতু-,বগুড়া আরএসডি কাপুর পট্রি সেতু, চাদপুরা বাজার মৌ বাড়িয়া সেতু,বিবিরায় হাইস্কুল সংলগ্ন সেতু,রমানাথসেন সেতু,ইউজেটএইচকিউ সদর বগি সেতু,আদমপুরা হাতেম ডাক্তার বাড়ি সংলগ্নে সেতু,কাটাখালী গাজি সড়ক সেতু,উত্তর রনগোপালদী কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন সেতু,বড় গোপালদী আব্দুল লতিফ মৃধা বাড়ি সংলগ্নে সেতু, চরঘূর্নি বিডব্লিউবি ইমভেনমেন্ট বাধ সংলগ্ন আয়রন সেতু, বর্তমানে অধিক ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়াও ১১ টি সেতু সংস্কার প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন জানান, ঝুকিপূর্ন সেতুগুলোর মধ্যে ৭টি সেতুর র্নিমান কাজ অচিরেই শুরু হবে ১৫টির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কার করার উদ্দ্যেগ নেয়া হবে