প্রকাশ: সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১:২৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টাইগারদের জার্সিতে একটা সময় তিন ফরম্যাটেই নাসির হোসেন ছিলেন অপরিহার্য। দারুণ সব ম্যাচ জেতানো এই ‘ম্যাচ ফিনিশার’ সময়ের পরিক্রমায় দীর্ঘদিন ধরেই দলের বাইরে। উন্নতির বদলে ফিটনেসের অবনতি ঘটেছে নাসিরের। সবশেষ বিপ টেস্টে পাশ করতে পারেননি নাসির, স্কোর ৮.৫। নিজের এই দূর্দশার কথা নিজেই জানালেন নাসির। নাসির বলেন, ‘আমি টুর্নামেন্ট খেলার পরিস্থিতিতে ছিলাম না। আমি নিজের ইচ্ছায়ই বিপ টেস্ট দিই। আমার নিজের ফিটনেসের অবস্থা যাচাই করার জন্যই আমি বিপ টেস্টে অংশ নিই। আমার পুরো ক্যারিয়ারে এতো কম বিপ টেস্ট আমি কখনোই দিইনি।’নাসির আরো বলেন, ‘সবাই জানে আমি কেমন ফিট থাকি বা ছিলাম। এত কম হবার কথা না আমার। সেই সময় আমার পায়ে ব্যথা শুরু হয় এবং থেমে যাই। মাথায় একটা জিনিসই ঘুরপাক খাচ্ছিল, এই ২০ দিনের খেলার চেয়ে ৬ বছরের ক্যারিয়ার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি ২০ দিনের এই টুর্নামেন্ট স্যাকরিফাইস করে ৬ বছর খেলতে চাই।’অনলাইন শপিং দারাজের ১১.১১ ফেসবুক লাইভ আড্ডায় উপস্থাপক রাফসান শাবাবের সাথে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন নিজেকে নিয়ে এই কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানেই তিনি নিজের ফিটনেস প্রসঙ্গে বলেন,কয়েকদিন আগেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের জন্য অন্য সব ক্রিকেটারের সাথে আমিও ফিটনেস টেস্ট দি। বিপ টেস্টে ১১ স্কোর পাস মার্ক রেখেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তুসেখানে আমার সর্বনিম্ন স্কোর। স্বভাবতই প্রশ্ন কিন্তু কেন? নাসির জানালেন আসল কারণ, ‘আসলে আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে এত সরব নই। আমি জিম করি, ব্যাটিং করি এসব ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে দিই না। অনেকে দেয়, কিন্তু আমি দিই না। আমি ভালোভাবেই অনুশীলন করেছি রংপুরে। ঢাকায় এসে অনুশীলন শুরু করার পর ইনজুরিতে পড়ে যাই। ইনজুরিতে পড়ায় আমি ফিজিও এবং ব্যক্তিগত ট্রেনারের সাথে কথা বলি। তারা সবাই আমাকে বিপ টেস্ট দিতে নিষেধ করেছেন। আমাকে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা দেন।’