প্রকাশ: সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত এক এমপির সংস্পর্শে আসায় সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জনসন জানিয়েছেন, তিনি এনএইচএস টেস্ট করিয়েছেন। তবে তার দেহে করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।
বৃহস্পতিবার অ্যাশফিল্ডের এমপি লি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ৩৫ মিনিট সময় কাটিয়েছেন জনসন। পরবর্তীতে লির দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশেষ ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জনসন। আগামী কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি করার কথা। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জনসনকে সেলফ আইসোলেশনে যেতে হলো।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে কি ধরনের বিধি-নিষেধ জারি হবে সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন জনসন। সেটা তার সেলফ আইসোলেশনে যাওয়ার আগেই ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কোভিড-১৯ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল জনসনের। এছাড়া চ্যান্সেলর রিশি সৌনাকের সঙ্গেও তার কাজ করার কথা।
রবিবার রাতে এক টুইট বার্তায় জনসন বলেন, ‘আজ রাতে আমি এনএইচএস টেস্ট করিয়েছি। সুতরাং আমাকে অবশ্যই সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে। কারণ ইতোমধ্যেই আমি এমন একজনের সংস্পর্শে ছিলাম যার কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে। আমার দেহে করোনার কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে আমি সব ধরনের বিধি-নিষেধ অনুসরণ করছি। সরকারের মহামারি বিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি এখনও দায়িত্ব পালন করে যাব।’
ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী জনসন এখন ভালো আছেন এবং তার দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলছেন, তিনি এখন ভালো অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছি। অথবা আমার শরীরে অ্যান্টিবডির কারণে এমনটা মনে হচ্ছে। কারণ আমি এর আগেই সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছি। নিয়ম সব সময়ই নিয়ম। রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এগুলো মেনে চলতে হবে।’
এর আগে গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনদিন হাসপাতালে কাটিয়েছেন জনসন। সে সময় তাকে ইনটেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি। তার জীবন বাঁচানোয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।