প্রকাশ: সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
স্ন্যাপচ্যাট – বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ব্যবহারকারী সাড়ে ১৫ কোটি। যারা প্রতিদিন এখানে শেয়ার করেন প্রায় ৬০০ কোটি ভিডিও।
স্ন্যাপচ্যাট নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২ মার্চ ২০১৭ সালে। প্রথম দিনের লেনদেন হিসেবে কোম্পানিটির বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। ওই দিন তাদের ১৭ ডলারের একটি শেয়ার বিক্রি হয় ২৪ ডলারে। যা মূল্য বৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছে ফেসবুক আর অনলাইন বাণিজ্যিক পোর্টাল আলিবাবাকে।
এর নেপথ্যে রয়েছেন কোম্পানিটির চিফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার ইমরান খান। শেয়ার বাজারে স্ন্যাপচ্যাটের শেয়ার বাড়তি মূল্যে বিক্রির পেছনে মূল ভূমিকা রাখা ইমরান খান জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী। ২০১৫ সালে ইমরান খানকে বিনিয়োগ ব্যাংক ক্রেডিট সুইস থেকে নিয়ে আসে স্ন্যাপচ্যাট। এজন্য তাকে দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে ১৪ কোটি ডলারের শেয়ার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১২’শ কোটি টাকার সমান।
ইমরানের পেছনে এত অর্থ ব্যয় যে বৃথা যায়নি তার বড় প্রমাণ কোম্পানিটির আয়। যা মাত্র এক বছরে ৮ গুণ বেড়ে হয়েছে ৪০ কোটি ডলার।
ইমরান ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ইউনিভার্সিটি অব ডেনভারের ডেনিয়েল কলেজ অব বিজনেস থেকে ২০০০ সালে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে যোগ দেন স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড উইন্ডোতে।
কিছুদিন ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। ২০০৪ সালে যোগ দেন বৃহত্তম ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক জেপি মর্গান গ্রুপে। মাত্র ২৯ বছর বয়সে জেপি মরগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বসেন।
২০১১ সালে যোগ দেন ক্রেডিট সুইচে। এবার আর বাজার বিশ্লেষক হিসেবে নন। একেবারে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে। তার নেতৃত্বেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রুপন, গো ড্যাডি, বক্স ও উইবোর মতো সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বাজারে আসে।
২০১৪ সালে আলিবাবাকে আড়াই হাজার কোটি ডলারে শেয়ার বাজারে নিয়ে আসেন তিনি। আর এটি স্ন্যাপচ্যাটকে উৎসাহিত করে ইমরানকে নিজেদের করে নিতে। তিনি এখন ২০১৭ সালে বেতন পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ডলার। সঙ্গে পেয়েছেন ৫০ লাখ ডলার বোনাস।
স্ন্যাপচ্যাটের পর তিনি বর্তমানে নিজের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভেরিশপ নিয়ে কাজ করছেন।