প্রকাশ: রোববার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনাই প্রমাণ করে, বিএনপি যেমন জামায়াতের সংশ্রব ছাড়েনি, তেমনি ছাড়েনি সন্ত্রাসের রাজনীতিও। করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ একটি অস্থির সময় পার করছে। সারাবিশ্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের আস্থার প্রতীক, ভরসার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে করোনা মহামারির ধাক্কা সামলিয়ে একটি সুন্দর সময় যখন চলছে, মানুষের জীবন যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ঠিক এমন একটি সময় আবার বিএনপি-জামায়াত জোট আগুন-সন্ত্রাসের খেলায় মেতে উঠেছে। বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা বিএনপির ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মহামারিতেও বিএনপির-জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেমে নেই।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৫৯ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (১৫ নভেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুক্তরাজ্য স্টাডি সার্কেলের চেয়ারপার্সন ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আসলে এটা একটি দুর্ভাগ্য যে, যখনি বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যায়, যখনি বাংলাদেশ সফলতার ইতিহাস গড়তে যায়, তখনি কিন্তু এই পেশা ভিত্তিক চোরাগুপ্তা হামলা করা হয়, ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হয়। আমরা দেখলাম যে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত কোন হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস এইগুলো কিছুই ছিলোনা, যে কারণে আমরা দেখেছি এই করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র যখন তাদের অর্থনীতিক বিষয়টা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে অবাক করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে শুধু ধরে রাখেনি, বরং আমদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে অনেক জায়গায় ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মানুষ যখন নতুন করে আশা সঞ্চার করছে এবং সারা বিশ্বের মানুষ যখন শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখনই ঢাকার ৯টি জায়গায় ১০টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় সেদিন আগুন দেওয়া হয়েছে সেখানের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা যাত্রী বেশে বাসে উঠে অন্যান্য যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে বাসে ভিতর থেকে আগুন ধরিয়ে দিইয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কেউ ভুলেনি। ঠিক ২০১৩-১৪ সালেও ঠিক একইভাবে যাত্রী বেশে বাসে উঠে আগুন লাগানো হয়েছিল। তখন শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রলবোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষগুলোর আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি পরিবেশবান্ধব নিরীহ লক্ষ লক্ষ গাছ। ওই সময় ২৩১ জনকে হত্যা করা হয়। প্রায় ১২শ লোক মারাত্মকভাবে আহত হয়। ২৯০৩টি বাস/ট্রাক, ১৮টি ট্রেন, ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চ, ৭টি ভূমি অফিসসহ ৭০টি সরকারি অফিসে আগুন দেয়। একাত্তর সালের পাকিস্তানি হানাদারদের মতো ভয়াবহতা চালায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সেদিন জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোরতম পদক্ষেপের নিয়ে দুর্বৃত্তদের পরাভূত করে আগুন সন্ত্রাস ও অগ্নি সন্ত্রাস কমিয়ে এনে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আজকে আমরা আবার সেই ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার নিউজে শুনেছি, বিএনপি একজন নেত্রীর সাথে বিএনপির একজন নেতার সাথে কথা হচ্ছিল, সেখানে বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন যে, যুবদলের ছেলেরাই বাসে আগুন দিয়েছে। এটা আসলে প্রযুক্তির একটা ইতিবাচক দিক। প্রযুক্তির কারণে কিন্তু এই বিষয় গুলো ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এবং এই আগুন লাগানোর ঘটনা গুলো যদি মিলিয়ে দেখেন অতীতের অন্যান্য অগ্নি সন্ত্রাস কর্মকাণ্ডের সাথে তাহলে দেখবেন একই গোষ্ঠী এই অপকর্ম গুলো করে যাচ্ছে।