জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আফড়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে ১ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুর থেকে শুরু করে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ বিকেল পর্যন্ত চলে।
আহতরা হলেন- কাজী লাল পক্ষের আহতরা হলেন কাজী লাল, আরিফ (গুলিবিদ্ধ), জমিন ও তোফাজ্জল হোসেন। নেকবার আলীর পক্ষের বেলাল, জলিল, রহমান, ওসমান, সুরাই, ইমদাদুল, নেকবার, আলিমুদ্দিন, নজরুল, আলতাব, মাইদুল, জাহাঙ্গীর, সোহেল, আবুল, একরাম, রেহেনা।
আহতদের সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের নেকবার ও কাজী লাল পক্ষের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার নেকবার পক্ষের এমদাদুল হক আফড়া-মঙ্গল গ্রামের মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেখানে জমির আইল (সীমানা নিয়ে কাজী লাল পক্ষের কালু মেম্বরের সাথে এমদাদুল হকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এমদাদুলকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধাওয়া করে মাঠছাড়া করেন।
এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে রোববার দুপুরে নেকবার পক্ষের লোকজন একত্র হয়ে মাঠে যান। এ খবর পেয়ে কাজী লাল পক্ষের লোকজনও সংগঠিত হয়ে মাঠে যান। এতে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে নেকবার পক্ষের লোকজনের পিছু হটে যায়। এ সুযোগে কাজী লালের লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা কমপক্ষে ৫/৬টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
হামলাকারীরা বেলাল, জলিল, সোবহান, আয়ুব আলী, ইসলাম, আজিত, মোহাম্মদ আলীর বাড়ি ভাংচুর করে।
নেকবার পক্ষের বেলালের স্ত্রী সাথী খাতুন জানান, হামলাকারীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান রোববার সন্ধ্যায় জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে দু’দফায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে কাজী লাল পক্ষের কালু মেম্বার ও নেকবারের পক্ষের বেলালকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও ওসি জানান।