প্রকাশ: রোববার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে চটপটি খাওয়ার প্রলোভনে ১০ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নির্যাতিত ওই কন্যাশিশুর বাবা থানা কমপাউন্ডে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন।
এর আগে বিকেলেই ধর্ষক মুজিবুরকে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। সে স্থানীয় গাজীপুর-ইটাখোলা বাইপাস সড়কের নোয়াপাড়া এলাকায় চটপটির ব্যবসা করে। ঘরে তার দুই স্ত্রী এবং সে ৫ সন্তানের জনক। অন্যদিকে নির্যাতিত ওই কন্যাশিশু স্থানীয় একটি প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ধর্ষক সম্পর্কে কন্যাশিশুটির চাচাত দাদা হয়।
গ্রেফতার ও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় ধষর্ণের মামলা দায়ের হয়েছে। পরে নির্যাতিতা ওই শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
নির্যাতিত ওই কন্যাশিশুর বাবা জানান, ১৪ নভেম্বর বিকেলে তার মেয়ে বাড়ির পাশে বাইপাস সড়কে চটপটি খেতে যায়। সেখানে মেয়েটিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে দোকানে বসিয়ে রাখে। পরে সন্ধ্যা হলে দোকান বন্ধ করে দিয়ে তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলেও সন্ধ্যা শেষে রাত গড়ালেও পরিবারের লোকজনের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে ওই চটপটির দোকানের পাশে মুজিবুরের কাছে খোঁজ করলেও সে কোন খবর দেয়নি। এদিকে সকালে ওই চটপটির দোকানের পাশে মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি পরিবারের কাছে রাতে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ দেয়। পরে তাকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং ওই লম্পকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
তিনি আরো জানান, থানা হাজতে আটক ওই লম্পট তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে তার কাছে ক্ষমা চায়। যা হওয়ার হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আর সামনে না বাড়তে অনুরোধ করে। ধর্ষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সে তাকে ২ কাঠা জমি লিখে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। তিনি তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে শিশুকন্যার নির্যাতনের সঠিক বিচার চান।