প্রকাশ: রোববার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম হত্যা মামলায় রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা তুজ জোহরা ময়নার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৪৫ বছর বয়সী ফাতেমা তুজ জোহরা ময়নাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম। এরপরই আনিসুলকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউটিটে নেয়া হচ্ছে বলে তার পরিবারকে জানানো হয়। পরে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিউটিটে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল বলেন, আনিস কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী দোতলায় নেন। কিছুক্ষণ পর আনিসুল অজ্ঞান হওয়ার খবর পান। সেখান থেকে তাকে দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউটিটে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, পরে আদাবর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। সেখানে হাসপাতালের ছয় কর্মচারী মিলে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরো দুজন কর্মচারী পা চেপে ধরেন। তার মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে আনিসকে আঘাত করে। এ সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। পরে একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা হয়। কয়েক মিনিট পর আনিস জ্ঞান হারান।
এরপর কর্মচারীদের একজন আনিসকে মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। কক্ষের দরজা লাগিয়ে আনিসের বুকে পাম্প করেন ওই নারী।
রেজাউল করিম বলেন, আনিসের ব্লাডপ্রেসার ও হৃদরোগ ছিল। কিন্তু এ দুটির কোনোটিই মারাত্মক ছিল না। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণপিটুনিতে আমার ভাই মারা গেছে।