প্রকাশ: রোববার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৫১ পিএম আপডেট: ১৫.১১.২০২০ ৫:১১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
তারই নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন নির্বাচনি কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগকে হাস্যকর আখ্যা দিয়েছেন । নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এক সাক্ষাৎকারে বেন হোভল্যান্ড নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, চারপাশে যেসব ষড়যন্ত্র তত্ব ঘুরছে তার পরিণতি রয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকশন অ্যাসিসট্যান্স কমিশন পরিচালনা করেন বেন হোভল্যান্ড। অন্য কাজের পাশাপাশি ভোটিং মেশিন পরীক্ষা এবং অনুমোদন করা এই কমিশনের দায়িত্ব। গত বছর এই কমিশনে হোভল্যান্ডকে মনোনীত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সিনেট সর্বসম্মতক্রমে তা অনুমোদন করেন। নির্বাচন তদারকি করা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকেন হোভল্যান্ড। গত শুক্রবারের ওই সাক্ষাৎকারে বেন হোভল্যান্ড বলেন, ‘সর্বনিম্ন (পরিণতি) হলো এটা আমাদের নির্বাচন পরিচালনা করা পেশাজীবীদের জন্য অপমানজনক আর ধারণা করছি সেটাই এর সবচেয়ে মারাত্মক ফলাফল।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজন তাদের কাজ করছে কিন্তু এখন তারা নিরাপদ বোধ করছেন না। সেটা একটা বিপর্যয়, আশঙ্কাজনক। তারা সবাই জনগণের সেবক। এই কাজগুলো তারা সম্মান পেতে কিংবা ধনী হওয়ার জন্য করে না।’গত সপ্তাহের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত হলেও তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোনও জোরালো প্রমাণ সরবরাহ ছাড়াই ট্র্রাম্পের দাবি নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। তবে তা অস্বীকার করে আসছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে দেশটির নির্বাচন তদারকির দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকটি সংস্থা ট্র্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের কেউ কেউ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে সুরক্ষিত নির্বাচন আখ্যা দিয়েছেন।নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে পড়া লাখ লাখ ভোট মুছে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি যে অভিযোগ এনেছেন সেটিকে ‘মোটামুটি বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেন বেন হোভল্যান্ড। তিনি বলেন, আমি মনে করি যদি আমরা এই ধরনের কোনও কিছু দাবি করতে চাই তাহলে তার সমর্থনে বিশ্বাসযোগ্য কিছু থাকা উচিত। আমার বিশ্বাস এই ধরনের বক্তব্যতে কিছু যায় আসে। এগুলোর কারণে (নির্বাচনি) প্রক্রিয়ার ওপর থেকে মার্কিন জনগণ বিশ্বাস হারাতে পারে।ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের আনা অভিযোগগুলো আইনি প্রক্রিয়া থেকে খুবই আলাদা বলেও মনে করেন হোভল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘আমরা টুইটার কিংবা বক্তৃতার মঞ্চে বলিষ্ঠ বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি আর জনশ্রুতি এবং হাস্যকর প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হচ্ছে দেখছি। এগুলোর পরস্পরের সঙ্গে কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।’