প্রকাশ: রোববার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৪১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রথম ম্যাচে হেরে অনেকটাই ব্যাকফুটে নেপাল। তবে পরেরর ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়াতে চায় বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির কোচ বাল গোপাল মহারজন। নেপালি কোচ বলেন, ‘এদিন আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারিনি, কারণ দলের আক্রমণভাগ দুর্বল। চারজন সেরা খেলোয়াড় না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।’ তবে পরের ম্যাচে এই দল নিয়েই ভালো খেলতে চায় নেপাল। এদিকে আগামী বুধবারের দ্বিতীয় মেকাবিলায় জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় বাংলাদেশ এমনটি জানালেন বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে। গত শুক্রবার ফুটবলারদের মাঠে প্রদর্শিত শক্তি কোচকে এই সাহস যোগাচ্ছে বলে মনে করেন ফুটবল মোদীরা। শেষের বাঁশি বাজার আগেই গ্যালারি খালি। যেন ঘরে ফেরার তাড়া পেয়ে বসেছে সবাইকে। নেপালের বিপক্ষে পাঁচ বছর পর পাওয়া জয় উদযাপন জামালদের তাই সারতে হলো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে সাদামাটাভাবে। ৯০ মিনিট সামাজিক দূরত্বের কথা যারা ভুলে গিয়েছিলেন, একে অন্যের নিঃশ্বাস দূরত্বে বসে খেলা দেখেছেন, জয়ের ম্যাচে সেই দর্শকদের তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পড়া কেমন অস্বাভাবিক দেখাচ্ছিল। আসলে তখনও জানা ছিল, করোনাভাইরাসের ভয়কে জয় করে যারা খেলা দেখতে এসেছিলেন ঘরের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাননি তারা। নিউ নরমাল সময়ে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে লাল-সবুজ বাহিনীর ২-০ গোলের বিজয়উদযাপন করতেই রাস্তায় নেমেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চত্বর ৩০ মিনিটের মতো মুখর হয়ে থাকল একটি স্লোগানে- ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ..। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন কক্ষেও পৌঁছে গিয়েছিল দর্শক স্লোগান। ঢোলের আনন্দ আর্তনাদ আর স্লোগানের একটি শব্দ মোহিত করে রেখেছিল কোচ জেমি ডেকেও।দর্শক উপস্থিতিতে ম্যাচ জিতে জেমি ডে খুশি হলেও গ্যালারিতে সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়টি চোখ এড়ায়নি কোচের। যদিও কোচের ফোকাস ছিল জামাল-জীবনদের মাঠের পারফরম্যান্সে। খেলোয়াড়দের শরীরে জিপিএস চিপ লাগিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন তিনি।ফুটবলারদের ফিটনেসের প্রকৃত চিত্র পাওয়ার জন্যই কোচের এউদ্যোগ। যদিও লাল-সবুজদের মাঠের পারফরম্যান্স এবং অগোছালো ফুটবল দেখার পর জিপিএস চিপের রেকর্ড দেখে ছন্দ বোঝার প্রয়োজন পড়ে না। জেমি ডেও বাস্তবতা আড়াল করার চেষ্টা করেননি, ‘সাত-আট মাস খেলার বাইরে ছিল দল। কোনো ধরনের ম্যাচ খেলা হয়নি। এতদিন পর মাঠে নেমে গুছিয়ে খেলা সহজ ছিল না। মাঝমাঠ নিয়ে কাজ করতে হবে। আশা করি, পরের ম্যাচে আরও ভালো খেলবে।ম্যাচের ১০ মিনিটে জীবন লিড এনে দেওয়ায়উজ্জীবিত হয়েউঠেছিল দল। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করায় লিড বাড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় গোল এসেছে পরের অর্ধে সুফিলের পা থেকে। সেরা ছন্দ দেখাতে না পারলেও নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলের জয় জেমিকেও আত্মবিশ্বাসের অক্সিজেন যুগিয়েছে। যা কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ই-গ্রুপের বাছাই ম্যাচে কাজে লাগাতে চান। কোচের মতে, ‘প্রীতি ম্যাচ হলেও জয়ের গুরুত্ব অনেক। নেপালের বিপক্ষে পাওয়া এই জয় বিশ্বকাপ ম্যাচে ভালো খেলতে সহায়ক হবে। সামনের ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে আশা করি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যদের সঙ্গে সামর্থ্যের ব্যবধান কমিয়ে আনতে কাজ করছি। আশা করি, সামনে ভালো কিছু হবে।’ আগামী বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে ফের মুখোমুখি হবে দু’দল। তারপর ৪ ডিসেম্বর কাতারে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবেন জীবনরা। নিউ নরমাল সময়ে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ থেকে মূল খেলার জন্য দল গোছাতে পারবে কোচিং স্টাফ।
তবে নেপাল সেরা দল নামাতে পারলে স্বাগতিকদের জন্য সহজে ম্যাচ জেতা হতো না বলে অনেকেই মনে করেন। কভিড আক্রান্ত হওয়া এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে সেরা চারজন খেলোয়াড়কে রেখে সফর করছে নেপাল।