আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে। শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন বছরের জন্য নেতৃত্বে আসেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ।
তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হন যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল। শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আগের কমিটির ৯৬ নেতা বাদ পড়েছেন। আগের ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা নেতাদের মধ্যে মাত্র ৫৫ জন নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে। ২০১ সদস্যের এবারের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন মুখ ১৩৩ জন। সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের কমিটিতে রাখা হয়নি। কমিটিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ ও ক্যাসিনোবাজদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮ পদ খালি রাখা হয়েছে। ১৯৩টি পদধারীদের নাম ঘোষণা করা হয়। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৭ প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই ২২ জনের মধ্যে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, শেখ ফজলে ফাহিম, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ১৭ জন নতুন মুখ। প্রেসিডিয়াম সদস্যরা বলেন, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এমপি, মো. এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃণার কান্তি জোয়ার্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জুয়েল আরেং এমপি, মো. জসিম মাতুব্বর, মো, আনোয়ার হোসেন, এম শাহাদাত হোসনে তাসলিম।
২০১৪ সালে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম, যিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি। তিনি এবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। তার আরেক ভাই ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম এবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া বাকি ৪ জন হলেন, মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার।
আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক নানা সমস্যা নিয়ে ফেসবুক লাইভ করে আলোচিত ব্যারিস্টার সুমন। সাংগঠনিক সম্পাদকরা হলেন-কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মিল্টন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহদাত হোসেন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার আলী আসিফ খান রাজিব, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হ্যারিস মিয়া শেষ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন সাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নরীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হোসেন সুমন, উপ-আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. সায়েদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মো.আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্বরণ, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জল, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. মিছির আলী, উপ-জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুর রহিম, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-আমিন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওমন জামির রানা, উপ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদা, উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীন।
সহ সম্পাদকরা হলেন-মো. সাইফুল আলম সাইফুল, সাইফুল ইসলাম শাহীন পাটোয়ারী, মো. বেলাল হোসেন ফিরোজ, আবির মাহমুদ ইমরান, তোফাজ্জল হোসেন, মো.আতাউর রহমান উজ্জল, মো. মামুন আজাদ, মির্জা মো. নাসিউল আলম শুভ, মো. রাজু আহমেদ, গোলাম ফেরদৌস ইব্রাহীম, মো. মাইনুুল ইসলাম, ব্যারিষ্টার আরাফাত হোসেন খান, মো. আলামিনুল হক আলামিন, জামিল আহমেদ, মো. আব্দুল রহমান জীবন, নাজমুল হুদা ওয়ারেসি চন্ডল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. আজিজুল রহমান সরকার, সামিউল আমিন, মো. আলমগীর হোসেন শাহ জয়, মো. কামরুল হাসান লিংকন, রাজীব আহমেদ তালুকদার, মো. বাবলুর রহমান বাবলু, এ কে এম মুক্তাদির রহমান শিমুল, হিমেলুর রহমান হিমেল, আগতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মো. রাশেদুল ইসলাম সাফিন, মো. মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ, মো. রায়হান রুবেল, সাইফুল ইসলাম সাইফ, ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান পিন্টু, মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ, জিএম ওয়াহেদ পারভেজ, মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী, ডা. মো. মনজুরুল ইসলাম ভূইয়া রাফি ও মো. নাসির উদ্দিন মিন্টু। এছাড়া ১৮৯ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে বনানী কবরস্থানে পচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।