প্রকাশ: রোববার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১০:১৫ এএম আপডেট: ১৫.১১.২০২০ ১০:২১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
হেফাজতে বাংলাদেশের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফী জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পিত হত্যকাণ্ডের শিকার বলে দাবি করেছেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বরে হাটহাজারি মাদ্রাসায় জামায়াত-শিবিরের হামলার কারণেই আহমদ শফীর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর তদন্তে প্রধানমন্ত্রীকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আগামীকাল ১৫ নভেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিতব্য হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি সম্মেলন বাতিল করারও দাবি জানানো হয়। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে হেফাজতকে একটি গোষ্ঠী বিএনপি-জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বিবৃতিতে মঈন উদ্দিন দাবি করেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের সহায়তায় মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী হাটহাজারী মাদ্রাসা অবরোধ করেন। জুনায়েদ বাবুনগরী সেদিন মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন এবং মীর ইদ্রিস, নাসির উদ্দিন মুনির, মুফতি হারুন ইজহার ও ইনামুল হাসানসহ কয়েকজনের সহায়তায় সহিংসতা চালিয়ে মাদ্রাসার তহবিল লুট করেন।
এ সময় হামলাকারীরা জোর করে শফীর কক্ষে প্রবেশ করে তাণ্ডব ও লুটপাট চালায়। তারা শফীকে লাঞ্ছিত ও হুমকি দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তারা শফীকে মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে, তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, এ সময় শফী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় বেশ কয়েকবার শফীর অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে, তিনি কোমায় চলে যান।
শফীকে মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রাম হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সের পথ আটকে দেওয়া হয়। এভাবে তাকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়, যোগ করেন তিনি।
মঈন উদ্দিন বলেন, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য আহমদ শফীর ওপর বেশ কয়েকবার আঘাত এসেছে। প্রকাশ্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের (জামায়াতে ইসলাম) বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায়, তার ওপর জামাত-শিবিরের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল।