দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই বিএনপি-জামায়াত এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে: জয়নাল হক
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২৫ পিএম আপডেট: ১৪.১১.২০২০ ১০:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ একটি অস্থির সময় পার করছে। সারাবিশ্বে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের আস্থার প্রতীক, ভরসার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে করোনা মহামারির ধাক্কা সামলিয়ে একটি সুন্দর সময় যখন চলছে, মানুষের জীবন যখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ঠিক এমন একটি সময় আবার বিএনপি-জামায়াত জোট আগুন-সন্ত্রাসের খেলায় মেতে উঠেছে। বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা বিএনপির ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এখন সময় হয়েছে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে চিরতরে বিদায় করতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৫৮ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শনিবার (১৪ নভেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, জার্মান আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হক। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
জয়নাল হক বলেন, আমি ধন্য এইরকম গুণীজনের সাথে আজ ভোরের পাতার লাইভ সংলাপে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমারা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করা দাড়িয়ে আছি, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৫ই আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনদের। আমরা যারা বিদেশে থাকি তারা দেশের খবর পাই আপনাদের মাধ্যমেই। আমারা যেটা বুঝতে পারি দেশে এই যে আগুন সন্ত্রাস আবার শুরু হয়েছে তা বর্তমানে যে করোনা মহামারি চলছে তার মধ্যে দেশের সরকার যে উন্নয়ন কার্যাবলীতে সংগঠন বা মনোনিবেশ করছে তার সুনাম বিনষ্ট করার জন্যই হচ্ছে। হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম। তাই তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কখনো বিশ্বাস করে না। বিএনপির আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করে জনগণের মধ্যে ভীতিসঞ্চার করে তাদের জিম্মি করে রাখা। এ জন্যই তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। এখন কার্যত জামায়াতের বি-টিমে পরিণত হয়েছে। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত যে নারকীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে তারই ধারাবাহিকতা তারা বজায় রেখেছে। বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী দল সেটা যে শুধু আমরা যে বলছি তা কিন্তু নয়। কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপির একজন নেতার রাজনৈতিক আশ্রয় মামলার রায়ে বলেছে যে, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। বিএনপি হচ্ছে এমন একটি দল যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণে সশস্ত্র সংগ্রাম বা সহিংসতার আশ্রয় নেয়। হাতবোমা, পিস্তল ও অস্ত্র ব্যবহার করে নেতৃস্থানীয় এবং জনগণের ওপর হামলা চালায়। এমনকি অগ্নিসংযোগের মতোও ঘটনা ঘটায়। অতীতে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস ছিল রাজনীতি এখন অগ্নি সন্ত্রাস হচ্ছে হিংসানীতি কারণে। তারা বর্তমান করোনাকালীন সময়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সহ্য করতে পারছে না বিধায় আবার সেই তাণ্ডব শুরু করেছে।