প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৪৮ পিএম আপডেট: ১৪.১১.২০২০ ৯:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রায় প্রতি রাতেই ছাত্রদের বলাৎকারে মেতে উঠতেন মাদরাসাশিক্ষক শাহজালাল। এতে ছাত্ররা বাধা দিলে কোরআন চালান দিয়ে অভিশাপ দেবেন কিংবা পাগল বানানোর ভয় দেখাতেন। বলাৎকারের সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিতেন তিনি। অবশেষে শুক্রবার রাতে শাহজালালকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক শাহজালাল দেবিদ্বার উপজেলার তালতলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও দেবিদ্বার পৌরসভার নিউমার্কেট এলাকার চান্দিনা সড়কের জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন-নূর হাফেজিয়া মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক।
এদিকে, শাহজালালের বলাৎকারের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্র। পরে এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রটির বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই মাদরাসা থেকে শাহজালালকে আটক করা হয়।
চান্দিনা সড়কের একটি ভবনের তিনতলার একটি অংশ ভাড়া নিয়ে ওই মাদরাসাটি চলছিল। এখানকার একাধিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক শাহজালালের বিরুদ্ধে। তিনি প্রতি রাতেই মাদরাসার হোস্টেলের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে অভিশাপের কথা বলে কিংবা পাগল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রদের বলাৎকার করতেন।
অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ছাত্রটির বাবা বলেন, বলাৎকারের ফলে আমার একমাত্র ছেলেটি এখন অসুস্থ। তাকে নিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি। ছেলেকে পবিত্র কোরআন ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেছিলাম। আমি ওই লম্পটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহজালালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।